ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মজুদ স্বর্ণালঙ্কার বৈধ করার সুযোগ

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২৪ জুন ২০১৯

 মজুদ স্বর্ণালঙ্কার বৈধ করার সুযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী স্বর্ণমেলা। রবিবার সকালে পেলিক্যান মেহজাবিন ভবনে এ মেলা উদ্বোধন করেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত এই স্বর্ণমেলা চলবে। এই সময়ের মধ্যে স্বর্ণ ব্যবসায়ীগণকে অঘোষিত ও মজুত স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার, কাট ও পোলিশড ডায়মন্ড এবং রৌপ্যের ঘোষণা এবং এর বিপরীতে কর পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়েছে। মেলার এই তিন দিন ছাড়াও ৩০ জুন পর্যন্ত কর অঞ্চলে ঘোষণা দিতে পারবেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। আয়কর বিভাগ চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত স্বর্ণমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বর্ণমেলা-২০১৯ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কর কমিশনার জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য কালিপদ হালদার, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সভাপতি মৃনাল কান্তি ধর, হেলাল উদ্দীন সিকদার, ইকবাল হোসেন প্রমুখ। প্রধান অথিতির বক্তব্যে চসিক মেয়র বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। হতাশা ও আক্ষেপ ছিল। তারা হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। এই সরকার জনবান্ধব ও কণ্যাণমুখী সরকার। জনগণের কল্যাণ করাই সরকারে উদ্দেশ্য। তাই জনগণের সুবিধা-অসুবিধা চিন্তা করে স্বর্ণ ব্যবসার বৈধতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এ সুযোগ কাজে লাগানো উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিক উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের বিরাট অবদান রয়েছে। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কর দিয়ে আগামীতেও দেশ উন্নয়নে শামিল হোন। কর দিয়ে কোন ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়েছে, এমন ব্যবসায়ী আমার জানা নেই । মেয়র আরও বলেন, করের টাকায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। ব্যবসায়ী মহল ভাল করে জানেন, দেশের পাসপোর্টের সম্মান বেড়েছে। এখন আগেকার মতো ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারীদের হয়রানি করা হয় না। দেশের ভাতমূর্তি অনেকগুণ বেড়েছে । জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য কালিপদ হালদার বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, এ বার্তা নিয়ে এসেছি। দেশের রাজস্বের সিংহভাগ যোগানদাতা হচ্ছে এই চট্টগ্রাম। ২০০৫ সালে যে চট্টগ্রাম দেখে গেছি তার থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। ফ্লাইওভার হয়েছে। এখন সৌন্দর্যমন্ডিত ও নয়নাভিরাম চট্টগ্রাম। তিনি বলেন, আবহমানকাল থেকে মানুষের দুর্দিনের সঞ্চয় ছিল স্বর্ণ। বংশ পরম্পরায় স্বর্ণের ব্যবসা চলে আসছে। বর্তমান সরকার স্বর্ণ নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এতে ব্যবসায়ীদের ভীত হওয়ার কোন কারণ নেই। এটাই ব্যবসায়ীদের বড় সুযোগ বুক ফুলিয়ে ব্যবসা করার। মূল স্রোতধারায় আসার। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, স্বর্ণ নীতিমালার কারণে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হবে না। মৃণাল কান্তি ধর বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আয়কর, রাজস্ব, চসিকের ট্রেড লাইসেন্স ফি, ডিলিং লাইসেন্স ফি দেয়ার পরও প্রকৃত ব্যবসায়ীরা হয়রানির মুখে পড়ছেন। চট্টগ্রাম নগরে ৫ হাজার ২০০ জুয়েলারি দোকান। এর মধ্যে বৈধ ১ হাজার ৭০০টি। যারা ট্যাক্সের আওতায় নেই তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
×