ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলিক কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের দাবি বিসিআইর

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২৩ জুন ২০১৯

 মৌলিক কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম  কর প্রত্যাহারের দাবি বিসিআইর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের শিল্প উন্নয়নের স্বার্থে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পে ব্যবহৃত মৌলিক কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে প্রস্তাবিত অগ্রিম কর ও ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ-বিসিআই। পাশাপাশি প্রস্তাবিত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট থেকে পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর বোনাস লভ্যাংশের ওপর থেকে কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিসিআই। শনিবার মতিঝিলে সংস্থাটির সম্মেলন কক্ষে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব জানানো হয়। একই সঙ্গে বাজেট বক্তৃতায় সরকারী এবং বেসরকারী খাতের সমন্বয়ে গঠিত একটি ‘যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করার কথা বলা হয়েছে। উক্ত ওয়ার্কিং গ্রুপে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) কে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের ব্যবস্থা রাখা, প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করতে ৫ শতাংশ কর রেয়াতের প্রস্তাব করা, দক্ষতা উন্নয়নের জন্য জাতীয় মানবসম্পাদ উন্নয়ন তহবিল গঠন করায় অর্থমন্ত্রীকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন সংস্থাটির সভাপতির আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাজেটে বিভিন্ন খাতে ৫ শতাংশ, ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করা হয়েছে যা লাগসই নয়। পণ্য ও সেবাখাতে উপকরণ রেয়াত গ্রহণ করা না গেলে শিল্প ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন ৩০ শতাংশ হিসাবে গণনা করে তার ওপর ১৫ শতাংশ অর্থাৎ সরবরাহ মূল্যের ওপর ৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৪০ শতাংশ হিসাবে গণনা করে তার ওপর ১৫ শতাংশ অর্থাৎ সরবরাহ মূল্যের ওপর যথাক্রমে ৬ শতাংশ হারে মূসক ধার্য করা। প্রস্তাবিত বাজেট, কোন কোম্পানি স্টক ডিভিডেন্ড রিটেন আনিং প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে উক্ত স্টক ডিভিডেন্ট এর ওপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে উক্ত কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, এতে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে সিংহভাগ কোম্পানির ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি বোনাস লভ্যাংশ দিচ্ছে। অনেক সময় নগদ লভ্যাংশ দেয়ার স্বক্ষমতা থাকলে তা কোম্পানির সম্প্রসারণের জন্য রেখে দেয়া হয়। এখন বোনাস লভ্যাংশের ওপর করারোপ করা হলে বর্তমানে যেসব কোম্পানির বোনাস লভ্যাংশ দিচ্ছে সেটিও বন্ধ হয়ে যাবে। এতে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সংবাদ সম্মেলনে দেশের রফতানি বাজার সম্প্রসারণে বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে সকল রফতানি খাতে উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ এ নির্ধারণ করা, সকল রফতানি খাতে কর্পোরেট কর হার ১০ শতাংশ হারে ধার্য করা, আমদানি ও রফতানি নীতি আদেশে রফতানি খাতে নির্দেশিত শুল্ক ও কর সুবিধা প্রদান, রফতানি পণ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত গুণগতমান সনদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা নিশ্চিত করা, রপ্তানিপণ্যের আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করার মাধ্যমে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের মূল্য সংযোজন প্রক্রিয়া তরান্বিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
×