ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চৌগাছায় পটোলের কেজি তিন টাকা !

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ২৩ জুন ২০১৯

 চৌগাছায় পটোলের  কেজি তিন  টাকা !

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চৌগাছায় তিন টাকা কেজি দরে পটোল বিক্রি হয়েছে। অস্বাভাবিক হারে দরপতন হয়েছে। মাসখানেক আগেও পটোলের দাম ছিল চড়া। পানির দামে পটল বিক্রি করে হতাশ কৃষক। শুধু পটল নয়, মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়শ, করলা, বরবটির দামও কমেছে। সস্তায় সবজি বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষী। চৌগাছা পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বাজারের আড়ৎদার মুকুল হোসেন জানান, বাজারে অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক থাকলেও পটোলের দাম অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। শনিবার ৩ টাকা, সাড়ে তিন টাকা, চার টাকা কেজি দরেই পটোল বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা দরেও পাইকারি বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, কচু, কচুর লতি, বেগুনসহ অন্যান্য সবজির দাম বাজার অনুযায়ী স্বাভাবিক আছে। বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, কচু ৩০-৩২, কচুর লতি ১৮-২০, করলা ১৮-২০, ঝিঙে ১০-১২, মিষ্টি কুমড়া ৫-৫, কাঁচাকলা ২০, ঢেঁড়শ ৮-১০ টাকা করে কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। তবে হঠাৎ দাম কমে যাওয়ার কোন কারণ তিনি বলতে পারেননি। আড়ৎ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, অন্যান্য বছরের মতোই স্বাভাবিক পটোল উৎপাদন হলেও ঢাকাসহ বিভিন্ন মোকামে পটলের চাহিদা কমে যাওয়াতেই দাম অস্বাভাবিক কমে গেছে। বিভিন্ন পাইকারি মোকামে চাহিদা কমে যাওয়ায় এই অবস্থা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি সবজি মৌসুমে উপজেলার ৬শ’ ১০ হেক্টর জমিতে পটল চাষ হয়েছে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে স্বরূপদাহ, নারায়ণপুর, চৌগাছা পৌরসভা, চৌগাছা সদর, ধুলিয়ানী, জগদীশপুর, পাতিবিলা ও হাকিমপুর ইউনিয়নে পটোলের চাষ হয়েছে বেশি। পাইকারি কাঁচাবাজারের কয়েক চাষী জানান, বাজারে পটোলের দাম একেবারেই কম। তিন-সাড়ে তিন টাকা করে পটল বিক্রি করলাম। পলট তুলতেই কেজিপ্রতি ৫০ পয়সা, বাজারে আনতে ভ্যানভাড়া ৫০ পয়সা, আড়ৎ বাবদ ৫০ পয়সা দিতে হয়। এবার আমার থাকবে কত? । কৃষকরা বলেন, এ বছর পটোলের যে দাম, তাতে এ অঞ্চলের কৃষক আগামীতে পটল চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
×