ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শ্রীলঙ্কায় জরুরী অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২৩ জুন ২০১৯

 শ্রীলঙ্কায় জরুরী  অবস্থার  মেয়াদ বৃদ্ধি

শ্রীলঙ্কায় জরুরী অবস্থার মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। শনিবার তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে জরুরী অবস্থা বৃদ্ধির এ ডিক্রি জারি করেন। ইস্টার সানডেতে হামলায় ২৫৮ জন নিহত হওয়ার পর দেশজুড়ে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়। এক ডিক্রিতে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন দেশে ‘জনগণের জরুরী অবস্থা’ চলছে এবং জনগণের নিরাপত্তার জন্যই জরুরী অবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জরুরী অবস্থায় সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার ও আটক রাখার ক্ষমতা দেয়া হয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে। কঠোর এই বিধান শনিবারই শেষ হওয়ার কথা ছিল। এপ্রিল মাসে ইস্টার সানডেতে কলম্বোর তিনটি গির্জা ও তিনটি বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে একশ’ জনেরও বেশি লোককে হেফাজতে নেয়া হয়েছে, এর মধ্যে ১০ জন নারীও রয়েছে। গত মে মাসের শেষের দিকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর কূটনীতিকদের জানিয়েছিলেন দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ৯৯ শতাংশ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে এবং ২২ জুন জরুরী আইন বাতিল করা হবে। তিনি কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে, নিরাপত্তা বাহিনী আত্মঘাতী হামলায় সরাসরি জড়িতদের হয় আটক করেছে, নয়তো হত্যা করেছে। ওই আত্মঘাতী হামলার জন্য স্থানীয় একটি জঙ্গী গোষ্ঠীকে দোষারোপ করা হয়। আর এ ঘটনার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ। তবে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা কেন মত পরিবর্তন করলেন সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই বলা হয়নি। তবে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা বজায় রয়েছে। একটানা একমাস জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা যায়, কিন্তু ১০ দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে এটি অনুমোদন করতে হয়। আত্মঘাতী বোমা হামলার আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবহেলা ও ঘাটতির অভিযোগে পুলিশপ্রধানসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে জরুরী অবস্থা অব্যাহত রাখার ঘোষণা এল। শ্রীলঙ্কায় খ্রিস্টানদের গির্জা ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে জিহাদীরা হামলা চালাতে পারে- ভারতের গোয়েন্দাদের দেয়া এমন তথ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নিতে পারায় প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা সমালোচনার মুখোমুখি হন।-এএফপি
×