ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মার্কিন লেখিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ২৩ জুন ২০১৯

 ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মার্কিন লেখিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

এল্লে ফ্যাশন সাময়িকীর পরামর্শ কলাম লেখক শুক্রবার প্রকাশিত তার এক লেখায় বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প দু’দশকের বেশি সময় আগে নিউইয়র্কের এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিং রুমে তাকে যৌন হয়রানি করেছেন। ট্রাম্প প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি অভিযোগকারী ই. জিন ক্যারলকে কখনও দেখেননি এবং এ ঘটনা কখনও ঘটেনি। ক্যারল বলেছেন, ১৯৯৫ বা ১৯৯৬ সালে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ট্রাম্প তখন একজন স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ছিলেন আর তিনি ছিলেন একজন সুপরিচিত সাময়িকী লেখক ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপস্থাপক। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে যৌন অসদাচারণের অভিযোগকারীদের মধ্যে ক্যারল হচ্ছেন ১৬তম। ক্যারলের সাম্প্রতিক বইয়ের একটি অংশের লেখাটি শুক্রবার নিউইয়র্ক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। ক্যারল (৭৫) বলেন, তিনি ও ট্রাম্প তখন ম্যানহাটানে বার্গডোর্ফ গুডম্যান ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কেনাকাটা করছিলেন। হঠাৎ করে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ধাক্কা খান। তিনি বলেন, তিনি সূচনাতেই অপ্রত্যাশিতভাবে হৃদ্যতার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্মুখীন হন। ট্রাম্প তখন এক অজ্ঞাত নারীর জন্য একটি অন্তর্বাস কেনার জন্য তার পরামর্শ চান। তখন পরিহাসচ্ছলে একে অপরকে বলেন, এটা দুজনই পরে দেখা যেতে পারে। ক্যারল লিখেছেন, যখন ড্রেসিং রুমটির দরজা বন্ধ হয়ে যায় তখন তিনি আমাকে জোর করে দেয়ালের দিকে ধাক্কা দিলেন এবং মাথায় আঘাত করেন। এরপর তিনি আমার ঠোঁটের ওপর তার মুখ রাখলেন। ক্যারল বলেছেন, তাকে দেয়ালে চেপে ধরে ট্রাম্প তার টাইটস খোলার উদ্যোগ নেন এবং তিনি তার প্যান্টের জিপ খুলে তাকে প্রভাবিত করেন যে পর্যন্ত না তিনি তাকে (ট্রাম্পকে) ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন এবং ড্রেসিংরুম থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসেছেন। এ সময়টায় তিনি ছিলেন সম্পূর্ণভাবে পোশাক পরিহিত অবস্থায়। ক্যারল বলেন, তিনি কখনও পুলিশের কাছে যাননি। কারণ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় ভীত ছিলেন তিনি। তিনি লিখেছেন মৃত্যু হুমকির জন্য এ বিষয়ে তিনি মুখ খোলেননি। অথবা ব্যাপারটা তলিয়ে যেত আমাকে কাদায় নিক্ষিপ্ত করে। ট্রাম্প বলেছেন, ক্যারল নিজেকে আকৃষ্ট করতে চান। আমি জীবনে কখনও এ ব্যক্তিকে দেখিনি। তিনি নতুন বইটির কাটতি বাড়াতে চাইছেন। তার অভিপ্রায়ে এ ইঙ্গিত রয়েছে। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক সাময়িকী একটি মৃতপ্রায় প্রকাশনা এবং ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। -এএফপি
×