ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে

ইউরোপজুড়ে বিপজ্জনক তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ২৩ জুন ২০১৯

 ইউরোপজুড়ে বিপজ্জনক  তাপপ্রবাহ

আগামী সপ্তাহে ইউরোপের তাপপ্রবাহ রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। স্পেন থেকে শুরু করে জার্মানির কিছু কিছু শহরের তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। এমনকি যেসব এলাকা একটু উষ্ণ, সেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। আক্কু আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা জানায়, প্রশান্ত মহাসাগরের ঝড় ও মধ্য ইউরোপের উচ্চ চাপের সমন্বয়ে আফ্রিকার উত্তর থেকে মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপের বিস্তীর্ণ এলাকার ওপর দিয়ে উষ্ণ বায়ু প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে এলাকার ওপর দিয়ে বিপজ্জনক তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ফ্রান্সের আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সোমবার থেকে ব্রিটেন ছাড়া ফ্রান্সের অন্যান্য এলাকায় ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর রাতে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রীর নিচে নাও নামতে পারে। আবহাওয়ার এক বুলেটিনে বলা হয়, ‘যদিও এই তাপপ্রবাহ স্বল্পমেয়াদী হবে, তবে এর গতিবেগ ও তীব্রতার কারণে এটি উল্লেখযোগ্য হতে পারে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এগনয় বুজিন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, হাসপাতাল ও প্রবীণ নিবাসগুলোর প্রতি সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। তিনি এ সময় গত বছরের জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে এক হাজার পাঁচ শ’ লোকের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করেন, যা স্বাভাবিক সময়ের বেশি।জার্মানির আবহাওয়াবিদরা বলেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রীতে উঠার সম্ভাবনা এবং বাভারিয়ায় ২০১৫ সালের ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড অতিক্রম করার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। আক্কু আবহাওয়া জানায়, সপ্তাহের প্রথম থেকে কয়েকদিন প্যারিস, ব্রাসেলস, ফ্রাঙ্কফুর্টসহ মাদ্রিদ থেকে বার্লিন পর্যন্ত শহরগুলো তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হতে পারে। পরে আরও পূর্বের শহর বুখারেস্ট, ভিয়েনা, বুদাপেস্ট, বেলগ্রেড ও সোফিয়া ওনসব শহরের মতোই ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তারও বেশি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানকারী এই সংস্থার জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ এরিক লেইস্টার বলেন, ‘কয়েকদিনের এই তাপপ্রবাহ চলাকালে রাতও গরম থাকবে। এর ফলে বিভিন্ন ভবন ও বাড়িঘরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু থাকবে। এতে ঘুমের ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হবে এবং গরমজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের অসুস্থতার ঝুঁকিতে প্রবীণ ও শিশুরাই বেশি থাকবে। তীব্র গরমে অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে বাইরে বের হওয়া সীমিত করা উচিত।’ দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে দেখা যায়, জুলাই ও আগস্টে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকবে। ইউরোপীয় পরিবেশ সংস্থার মতে, ২০১৮ সালের আবহাওয়ার সঙ্গে এটির তুলনা করা যেতে পারে, যা এই মহাদেশের তিনটি উষ্ণ বছরের অন্যতম।-গার্ডিয়ান
×