ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানুষের কল্যাণে বাজেটের কাঠামো নতুন করে সাজানো দরকার ॥ সুজন

প্রকাশিত: ১০:২৯, ২২ জুন ২০১৯

 মানুষের কল্যাণে  বাজেটের কাঠামো নতুন করে সাজানো  দরকার ॥ সুজন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মানুষের কল্যাণে বাজেটে সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বলে মনে করে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন। সংগঠনটির মতে, বাজেটের কাঠামো নতুন করে সাজানো দরকার যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ এ থেকে উপকৃত হোন। এছাড়া বাজেট শতভাগ বাস্তবায়নে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাজেট ২০১৯-২০ ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সুজন সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অর্থনীতিবীদ ড. আনু মুহাম্মদ, বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ ম-ল, রাজনীতিবিদ জুনাইদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার প্রমুখ। বৈঠকে এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, পৃথিবীর অন্য কোন দেশে বাজেট নিয়ে সংসদে এত আলোচনা হয় না। কিন্তু বাজেট আলোচনায় প্রান্তিক মানুষের সমস্যা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয় না। আমরা দেখেছি, বাজেটে কৃষকের সমস্যা দেখা হয়নি। ধানের উৎপাদন মূল্য কম হওয়ার জন্য ভর্তুকি দেয়ার দরকার ছিল, সে বিষয়ে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ বাজেটে নেয়া হয়নি। হলফনামার তথ্যানুযায়ী, আমাদের অর্থমন্ত্রী দেশের শীর্ষ দশ ধনীদের একজন। তিনি আমাদের মতো দরিদ্রদের জীবন নিয়ে কতটা ভাববেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আয়-ব্যয়ের হিসাব পেলেও বাজেটে স্বচ্ছতার প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। বাজেট এখন ছক বাঁধা বাজেটে পরিণত হয়েছে। কাঠামোগত সংস্কারের পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে বাজেট নতুন করে সাজানো দরকার। বাজেট শুধু দিলেই হবে না সেই বাজেটে সাধারণ জনগণের জন্য কি আছে সেটা নিশ্চিত করা দরকার। যাদের টাকায় সরকারী কর্মকর্তাদের বেতন হয়ে থাকে, দেশের উন্নয়নের জন্য বাজেট দেয়া হবে আর সেই বাজেটে সাধারণ জনগণের জন্য কিছু থাকবে না এটা হতে পারে না। তিনি বলেন, বাজেটে সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা দরকার। দরকার মানুষের অবস্থান ও অবস্থানের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো। বিশেষ করে দরকার দরিদ্র মানুষের জন্য মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো। বর্তমানে আমাদের বাজেট হয়ে গেছে অনেকটা ছকবাধা, তাই বাজেটের কাঠামোগত সংস্কার দরকার বলে আমি মনে করি। অর্থনীতিবীদ ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, জুন-জুলাই অর্থবছরের সময়সীমা হওয়ায় নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। জুনে বর্ষাকাল শুরু হওয়ায় প্রকল্প খরচ বাড়ে। দু’তিনটা দেশ ছাড়াও কোথাও জুন-জুলাই অর্থবছর নেই। তাই এর পরিবর্তন করা দরকার। বাংলাদেশ বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ভোগ বাড়লেও কিলোক্যালরি গ্রহণ কমছে। আমরা দেখছি, চালের ভোগ কমেছে, কারণ সবাই এখন শুধু ভাতের ওপর নির্ভরশীল নয়। তাই সাধারণভাবে কিলোক্যালরি গ্রহণ কমে যাওয়া এখনও দুঃশ্চিন্তার বিষয় নয়। বরং কার কিলোক্যালরি কমেছে তার অনুসন্ধান হওয়া দরকার। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো প্রযুক্তির ব্যবহার।
×