ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকায় যোগাসনে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, তারকাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ২২ জুন ২০১৯

 ঢাকায় যোগাসনে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, তারকাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার  মানুষ

বিডিনিউজ ॥ আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে নানা শ্রেণী-পেশা ও বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নেমেছিল রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে শুক্রবার সকাল সোয়া আটটায় স্টেডিয়ামে শুরু হয় পঞ্চম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের এই অনুষ্ঠান। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠন, যোগব্যায়াম প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীসহ এতে যোগ দেন সাত হাজার মানুষ। বড়দের সঙ্গে যোগাসনে স্বতঃস্ফূর্ত দেখা গেছে শিশুদেরও। সবার জন্য উন্মুক্ত এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের বিনামূল্যে যোগম্যাট, টিশার্ট ও পানির বোতল দেয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের যোগব্যায়ামের নানা কলাকৌশল দেখিয়ে দেন ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। প্রশিক্ষকদের দেখিয়ে দেয়া বিভিন্ন আসন অনুসরণ করতে দেখা যায় দেশের ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের তারকাদেরও। এদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। যোগাসনে দেখা যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশকে। এবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে আরও ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। যোগ দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে মাঠে বড় পর্দায় দেখানো হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিডিও বার্তা। ২০১৪ সালে জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ২১ জুনকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ ইয়োগা’ ঘোষণা করেন। পরে প্রস্তাবটি জাতিসংঘের ১৭৫টি রাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালনের স্বীকৃতি পায়। ভারতীয় হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘের কোন প্রস্তাবের প্রতি এটিই ছিল সর্বোচ্চ সংখ্যক রাষ্ট্রের সমর্থন। ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় তাদের আয়োজনে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অনুষ্ঠান হয়েছে বলে হাইকমিশন জানিয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশন ২০০০ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো এই আয়োজন করেছিল। তাতে মাত্র সাতশ’ জন অংশ নিয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের দ্বিতীয় আসরে মন্ত্রী, কূটনীতিক, শিল্পীসহ রাজধানীর মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন এক হাজার পাঁচশ’ জন। ২০১৭ সালে প্রায় পাঁচ হাজার নাগরিক যোগ দেন এবং ২০১৮ সালে যোগ দেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ।
×