ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মধুমতি থেকে ৩৩ কিলোমিটার পাইপলাইনে আসবে খুলনা নগরীর সুপেয় পানি

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২২ জুন ২০১৯

 মধুমতি থেকে ৩৩ কিলোমিটার পাইপলাইনে আসবে খুলনা নগরীর সুপেয় পানি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খুলনা মহানগরীতে সুপেয় পানির সঙ্কট নিরসনে বাস্তবায়ন হতে চলেছে বহুল প্রতীক্ষিত সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্প। এরই মধ্যে বাগেরহাটের মোল্লাহাট সংলগ্ন এলাকার মধুমতি নদী থেকে ৩৩ কিলোমিটার পাইপলাইনে পানি আনা হয়েছে খুলনার রূপসার ওয়াটার ট্রিমেন্ট প্লান্টে। এখানে পানি পরিশোধনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক কাজের পর চলতি জুনের শেষেই পরীক্ষামূলকভাবে খুলনা শহরে সরবরাহ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশুদ্ধ পানি পাবেন মহানগরীর ১৫ লাখ মানুষ। আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা ওয়াসা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ জানান, ‘প্রকল্পের আওতায় শহরে ৬৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে রিজার্ভার ও ওভার হেড ট্যাঙ্ক। বর্তমানে রূপসায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পাইপলাইনে আনা মধুমতি নদীর পানি বিশেষ প্রক্রিয়ায় পরিশোধন করা হচ্ছে। এই শোধনাগার থেকে রূপসা নদীর তলদেশ হয়ে খুলনা শহরের সাতটি রিজার্ভারে পানি সরবরাহ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে।’ জানা যায়, ট্রিটমেন্ট প্লান্টে কয়েক স্তরে ফিল্টারের মাধ্যমে নদীর পানি পরিশোধন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে রিজার্ভার থেকে চারটি পাম্পের সাহায্যে মানসম্পন্ন পানি খুলনা শহরে সরবরাহ করা হবে। ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে রূপসা নদীর তলদেশ হয়ে খুলনা শহরের ৭টি রিজার্ভার পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। এছাড়া নগর এলাকায় ৬৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রাহককে সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। খুলনা ওয়াসা কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে প্রকল্পের বিভিন্ন প্যাকেজে গড়ে ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। জুনের শেষের দিকে ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার, বানিয়াখামার, লবণচরা জোনে পানি সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে শহরের সব জায়গায় পাইপলাইনে পানি দেয়া হবে। তবে পানির সঙ্কট মেটাতে আরও দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ওয়াসা তার কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে নগরবাসীকে কাক্সিক্ষত সেবা দেবে এটাই প্রত্যাশা।’ ওয়াসা সূত্র জানায়, প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২ হাজার ৫২৪ কোটি ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে জিওবি ফান্ডের বাইরে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এডিবি থেকে ৫২৩ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ও জাইকা থেকে ১ হাজার ২৮৪ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা দেয়া হয়।
×