ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সন্তানের শত্রুমিত্র

প্রকাশিত: ১০:২০, ২০ জুন ২০১৯

 সন্তানের শত্রুমিত্র

সন্তানের সঙ্গে পিতা-মাতার সম্পর্ক অতি মধুর ও অতি পবিত্র। সেই সন্তানই যদি বিপথগামী হয়ে বিপথে চলে যায় আর নিজের জীবন নষ্ট করে তখন পিতা-মাতার মনের অবস্থা কি হতে পারে সেটা সহজে অনুমান করা যায়। যে পিতা-মাতা নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ায়ে অতি কষ্টে অতি যত্ন করে মানুষ করে তোলেন সেই সন্তানই যদি সঙ্গ দোষে নষ্ট হয়ে যায় আর তার নিজের জীবন বিপন্ন করে তখন তো সেই পিতা-মাতার দুঃখ কষ্টের সীমা থাকে না। কথায় আছে- ‘সৎ সঙ্গে সর্বনাশ- অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’। তাই পিতা-মাতার উচিত তাদের সন্তান কোথায় যায়, কাদের সঙ্গে মিশে সে সম্পর্কে সব সময় খোঁজ-খবর নেয়া। সন্তান যদি একবার কুসংসর্গে মিশে যায় তবে তাকে রক্ষা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। আসলে বাবা-মা-ই সন্তানের প্রকৃত বন্ধু আর বাবা-মায়ের চেয়ে অন্য কেহ তাদের প্রকৃত বন্ধু ও সৃহৃদ হতে পারে না। সন্তানকে অযথা সন্দেহ করা ঠিক না। খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে হবে তাদের সন্তান স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে কাদের সঙ্গে মিশে আর কি কাজ করে। সন্তান কোন খারাপ কাজ কিংবা খারাপ নেশা করে কিনা। তবে এ কথা ঠিক, সন্তান যদি গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয় তবে তার ভবিষ্যত নষ্ট করতে বাধ্য। ১৫-১৭ বছর বয়সটি বয়ঃসন্ধিক্ষণ বলা হয়ে থাকে। এই বয়সটা সন্তানের জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়টা সন্তানকে অতি কড়া নজরদারিতে রাখতে হয় যাতে সে কু-সংসর্গে মিশে নষ্ট হয়ে না যায়। প্রতিটি বাবা-মা-ই তার নিজের সন্তানকে ভালবাসে, ¯েœহ করে আর তাকে মনের মতো করে মানুষ করতে চায়। তবে সন্তানকে অযথা সন্দেহ করে কোন লাভ নেই। বয়োঃসন্ধি সময়টাতেই পিতা-মাতাকে সন্তানের ব্যাপারে খুব বেশি সতর্ক থাকতে হয়, শুধু মুখে বললে হবে না। প্রত্যেকটি পিতা-মাতাকে তার সন্তানের প্রকৃত শুভাকাক্সিক্ষ বা হিতাকাক্সিক্ষ বলে প্রমাণ করতে হবে। সন্তানকে শিশুকাল থেকে এমনভাবে মানুষ করতে হবে যেন সে পিতা-মাতাকে প্রকৃত বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে- স্নেহ মায়া মমতা দিয়ে সন্তানকে মানুষ করতে হবে। নিজের সন্তান নিজের বাবা-মায়ের কথা না শুনলে এর চেয়ে দুঃখজনক অন্যকিছু হতে পারে না। এজন্য চাই সন্তানের সুশিক্ষা, সুন্দর পরিবেশ আর সুন্দর আচার-আচরণ। সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই। ছোটকাল থেকেই শিশুকে ধর্মীয় বিষয় শিক্ষা দিতে হবে। যাতে সে ভালমন্দের তারতম্য করার সুযোগ পায়। তাহলেই শিশুটি পরোপকারী, সত্যবাদী আর ধার্মিক হয়ে উঠবে আর অশ্লীলতাসহ সকল খারাপ কাজ বর্জন করবে। পিতা-মাতার উচিত শিশুকাল থেকে শিশুকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। কলাবাগান, ঢাকা থেকে
×