ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্মার্টফোনের ওপর বর্ধিত কর ও আমদানি শুল্কহার প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশিত: ০১:৩৪, ১৯ জুন ২০১৯

স্মার্টফোনের ওপর বর্ধিত কর ও আমদানি শুল্কহার প্রত্যাহারের দাবি

অনলাইন ডেস্ক ॥ আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোনের ওপর বর্ধিত কর ও আমদানি শুল্কহার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে । এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএর সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু। এ সময় সংগঠনের সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান, স্মার্টফোন বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ সাকলাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও অন্যান্য খরচসহ মোবাইল ফোন আমদানিতে করের হার রয়েছে ৩০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ করহার সবমিলিয়ে ৫৭ দশমিক ৩১ শতাংশে দাঁড়াবে, যা আগের বছরের তুলনায় ৯০ শতাংশ বেশি। এটি কর্যকর হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে বহু মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে। বাংলাদেশে স্মার্টফোন উৎপাদনে সমৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানায় বিএমবিএ। বর্তমানে যে সব ব্র্যান্ড বাংলাদেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন শুরু করেছে, সে সব মোবাইলের গুণগতমান সম্পন্ন করে বাজারে সরবরাহ করতে আরও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। সে কারণে বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোকে সুবিধা না দিয়ে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুযোগ দেয়ার অনুরোধ জানান সভাপতি। গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হয়। বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, আইসিটি খাতের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা দেয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে ৫-৬টি সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ খাতে বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রেখে সেলুলার ফোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রাংশের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোন আমদানি শুল্কহার ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের স্মার্টফোন আমদানি শুল্কহার ১০ শতাংশ রয়েছে। অর্থাৎ স্মার্টফোনে আমদানি ব্যয় ১৫ শতাংশ বাড়বে। তবে আমদানি পর্যায়ে ফিচার ফোনের ক্ষেত্রে বর্তমানে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ প্রতিপাদ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
×