নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৮ জুন ॥ সদর উপজেলার বড়গাঁ ইউনিয়নের চামেশ্বরী জাগিরপাড়া গ্রামে তিন সন্তানের এক জননীকে গণধর্ষণের মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও মামলাটি তুলে নিতে ভুক্তভোগীর বাড়ির পয়নিষ্কাশনের পানি ও খাবার পানি বন্ধ করেছে অভিযুক্তরা।
জানা যায়, গত ১২ মে এ গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা না করতে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করলেও পরে ২১ মে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করতে সক্ষম হয় ভুক্তভোগী ।
ভুক্তভোগী তিন সন্তানের জননী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানান, ঘটনার রাতে বাড়িতে আমাকে একা পেয়ে তারা আমার শিশু সন্তানের এবং আমার গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে রেখে আমার হাত, পা ও মুখ বেঁধে বাড়ির পাশে মলানখুড়ী স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে আমাকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর অনেক চেষ্টা করে মামলাটি করতে পারি। কিন্তু এখনও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার না করে উল্টো আমাকে বলছে আমি মিথ্যে মামলা করেছি। আসামিরা বুক ফুলিয়েই আমার বাড়িতে গিয়ে মামলা তুলে নিতে আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে নতুবা আমার সন্তানদের ভাল হবেনা বলে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাড়ির টিউবওয়েলের পাইপ কেটে দেয়ায় আমরা পানি খেতে পারছিনা ও তারা আমার বাড়ির ময়লা পানির রাস্তাও বন্ধ করে দেয়ায় বাড়ির উঠানে ময়লা পানি জমে একাকার হয়ে আছে। এ বিষয়ে পুলিশকে জানানোর পরও পুলিশ কোন পদক্ষেপই নিচ্ছে না। আসামিরা আমাকে বলেছে যত টাকা খাওয়াতে হয় পুলিশকে খাওয়াব, মামলায় কিছুই হবেনা। ফলে আমি পরিবারের লোকজনকে নিয়ে অনেক অসহায় এবং আতঙ্কে দিন যাপন করছি।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, আমরা আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। ভিকটিমকে হুমকি দেয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।