ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মামলাজট কমানোকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সরকার কাজ করছে : আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ১৮ জুন ২০১৯

মামলাজট কমানোকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সরকার কাজ করছে   :  আইনমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বর্তমান সরকার মামলা জট কমানোকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে। মামলাজট কমাতে নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এছড়া সরকারি কৌশলীদের মামলা পরিচালনার সুবিধার্থে এটর্নী সার্ভিস গঠনের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় আছে। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলমান থাকলেও সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত হয়নি। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে চলাকালে সংঘটিত গণহত্যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য সরকার ‘আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ‘আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে দুটি ট্রাইবুনাল গঠন করেছে। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে ট্রাইবুনাল-১ পুনঃগঠন করে বিচারাধীন কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে। তবে, ট্রাইব্যুনাল-২ এর কার্যক্রম নিস্ক্রিয় রাখা হয়েছে। তবে, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দুইটি ট্রাইব্যুনালের সহায়তায় ৩০ জনকে সাজা প্রদান করা হয়েছে। সরকারি দলের অপর সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিচারাধীন মোট মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৪৩টি। বিচারাধীন মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি, নতুন আদালত সৃজন, আদালতের অবকাঠামো উন্নয়ন, বিচারকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণসহ মামলা নিষ্পত্তিতে তদারকি বৃদ্ধি করাসহ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, আইন ও বিচার বিভাগ সারাদেশের বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে বিচার কাজ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এজলাস সংকট নিরসনে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিচার কাজে গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনকে গতিশীল করা হয়েছে যাতে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া যায়। শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সারাদেশে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজিদের জাতীয়করণ করার কোন পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের নেই। মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ অনুযায়ী নিকাহ রেজিস্ট্রারদের সরকার শুধুমাত্র লাইসেন্স প্রদান করে থাকেন। তাই তাদের জাতীয়করণের আওতায় আনার আইনগত সুযোগ নেই। নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নিবন্ধন অধিদপ্তরে কর্মরত সাব-রেজিস্ট্রারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে, বিগত ১০ বছরে এ অপরাধে কাউকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি। কারণ অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চাকরি বহাল রাখা হয়েছে।
×