ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোপকে দেয়া ৬০ দিনের সময়সীমা বাড়ানো হবে না ॥ ইরান

প্রকাশিত: ১১:০০, ১৮ জুন ২০১৯

  ইউরোপকে দেয়া ৬০ দিনের সময়সীমা  বাড়ানো হবে না ॥ ইরান

ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইদ আব্বাস আরাকচি বলেছেন, পরমাণু সমঝোতা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তার দেশ ইউরোপকে ৬০ দিনের যে সময়সীমা বেধে দিয়েছে তা কোন অবস্থাতেই আর নবায়ন করবে না তেহরান। ইরান সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপ-প্রধান কর্মকর্তা হেলগা স্মিডের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান আরাকচি। ওয়েবসাইট। তিনি বলেন, শুধুমাত্র বিবৃতি প্রকাশের লক্ষ্যে ইউরোপের সঙ্গে আর কোন আলোচনায় বসবে না তেহরান। পরমাণু সমঝোতা রক্ষার লক্ষ্যে ইউরোপের পক্ষ থেকে ইরান এখন পর্যন্ত কোন বাস্তব পদক্ষেপ নিতে দেখেনি উল্লেখ করে আরাকচি বলেন, জ্বালানি, তেল, পরিবহন, পুঁজি বিনিয়োগ ও ব্যাংকিং খাতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে ইরানের লেনদেন চালু করতে ইউরোপ ইচ্ছা করলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে। এ বিষয়ে ইউরোপের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও তার বাস্তবায়ন হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। গত ৮ মে ইরান পরমাণু সমঝোতার ২৬ ও ৩৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী এ সমঝোতার কিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করে। এর আওতায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম এবং ভারি পানি মজুদ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি ইরান আর মানবে না। যুক্তরাষ্ট্র এ সমঝোতা এক তরফাভাবে পরিত্যাগ করার এক বছর পূর্তিতে ওই ঘোষণা দেয় ইরান। একইসঙ্গে তেহরান ইউরোপকে দুই মাসের সময়সীমা বেধে দিয়ে জানায়, এই দুই মাসের মধ্যে ইউরোপীয়রা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারলে ইরান পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। মার্কিন সরকার গতবছরের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যায় এবং নবেম্বরে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো এ সমঝোতায় ইরানকে অটল থাকার আহ্বান জানিয়ে তাদের পক্ষ থেকে তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। এ বিষয়ে তারা মুখে অনেক কথা বললেও কার্যত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এর প্রতিবাদে ইরান বলে আসছে, তার ধৈর্যের সীমা আছে এবং পশ্চিমারা যেন তেহরানের কাছ থেকে ধৈর্যের পরীক্ষা না নেয়।
×