ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তদন্ত রিপোর্ট

ভুল করেই পাসপোর্ট ফেলে কাতার যান ক্যাপ্টেন ফজল

প্রকাশিত: ১০:২৮, ১৮ জুন ২০১৯

 ভুল করেই পাসপোর্ট ফেলে কাতার যান ক্যাপ্টেন ফজল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট নিয়ে কাতারে যাওয়ার সময় ভুল করেই পাসপোর্ট রেখে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। বিমানবন্দর ছাড়ার আগে পাইলট ফজল মাহমুদ ভুল করে পাসপোর্ট বলাকা ভবনে তার অফিসে রেখে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি। পাইলটের সঙ্গে কথা বলে এবং এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য যাচাই করে রবিবার এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তিনি আসলে ভুল করেই পাসপোর্ট ফেলে গিয়েছিলেন। এটা তিনি অবলীলায় স্বীকারও করেছেন। দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এ ঘটনা তদন্তে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। জানা গেছে- গত ৬ জুন ফিনল্যান্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে রওনা হন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট পয়েন্টে থাকা একটি হোটেলে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তবে তিনি কাতারের ট্রানজিট পয়েন্ট পার হলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তার পাসপোর্ট দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। তখন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে বিমানবন্দরটির ইমিগ্রেশনের হেফাজতে নেয়া হয়। এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে নেয়া হয়। ফজল মাহমুদের পরিবর্তে বিমানের অন্য পাইলটকে পাঠানো হয়। পরে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটিকে প্রথমে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। পরে আরও তিন কর্মদিবস সময় বাড়িয়ে নেয়া হয়। সেই ছয় কর্মদিবস শেষ হওয়ার আগেই রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের হাতে প্রতিবেদন তুলে দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এদিকে একই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করেছে। এ কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তারাও সময় বাড়িয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত পাইলট ফজল মাহমুদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মন্ত্রণালয় ও বিমানের কোন দায়িত্বশীল কর্তা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
×