ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ১৮ জুন ২০১৯

 ঢাকার দিনরাত

সকালে ঘুম ভেঙ্গেছিল বজ্রপাতের শব্দে। চোখ মেলে দেখি বেশ গাঢ় অন্ধকার। অথচ অন্য দিন রোদ্দুরের দেখা পাই। ধন্দে পড়েছিলাম মুহূর্তের জন্য, এখন সন্ধ্যা নয় তো! ঢাকায় কয়েক বছর যাবত দেখছি দিনের বেলায় খুব বেশি মেঘ করলে রাতের অন্ধকার নেমে আসছে। তাই ভাবছিলাম এখন দিন না রাত। যাহোক, পরে ভুল ভাঙল। বৃষ্টির শব্দও কানে মধুর গান হয়ে ধরা দিল। না, রোমান্টিকতা করছি না, বর্ষাবন্দনায়ও সায় নেই আমার। রাতভর ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছি ক’দিন। অন্য ঘরে এসি চলুক, আমি এ ঘরে এসি লাগাব না। অত বিলাসীতায় (বলছি বটে, আসলে কিন্তু বড় প্রয়োজন, ঢাকায় যারা থাকেন তারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন) আমার কাজ নেই। তাই সিলিং ফ্যানের নিচে ঘুমিয়ে পড়ি। রোজ ভাবি ভোরের বেলা নিশ্চয়ই আর ঘামতে হবে না, তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। কোথায় কমাকমি। বরঞ্চ বেড়েই চলে। আজ কী ভ্যাগ্য! এসির মতোই হিমহিম ভাব ঘরে। সে জন্যই বলছিলাম, বৃষ্টির শব্দ কানে মধুর সঙ্গীত হয়ে ধরা দেয়ার কথা। হঠাৎ মন বলল, আজ পহেলা আষাঢ় নয় তো। ঠিক তাই। কাগজের প্রথম পাতায় আষাঢ়ের খবর (আষাঢ়ে গল্প নয় কিন্তু)। জনকণ্ঠ তো হৈমন্তী শুক্লার গানের চরণ দিয়েই শিরোনাম করেছেÑ বৃষ্টি আমার চোখের পাতা ছুঁয়ে না। হুম, বর্ষাকাল তাহলে শুরু হয়ে গেল পঞ্জিকায়। প্রকৃতিতে অবশ্য বর্ষার আগমনী আবহ মিলছিল হঠাৎ হঠাৎ। ওই ছিটেফোঁটা বর্ষায় সম্ভবত ঢাকার রাস্তার ওপর পুরু হয়ে জমে থাকা ধুলার আস্তরেরও বিরক্তি ধরে। তার সঙ্গে টিটকিরি করে যেন বৃষ্টি। ফলে ওই বৃষ্টি তাপহরা না হয়ে দেখা দেয় তাপঝরা হিসেবে। কিন্তু পহেলা আষাঢ়ের ধরনই আলাদা। এই বৃষ্টি দাপুটে বর্ষারই বারিধারা। ইশ আজ যদি অফিসে না যেতে হতো। ঈদের দিন প্রচন্ড বর্ষার মধ্যে বেরিয়েছিলাম পঙ্গু হাসপাতালের উদ্দেশে। সে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিয়েছি গত সপ্তাহে পাঠকের সঙ্গে। কিন্তু আজ হচ্ছে অফিস। বেরুতেই হবে। যদি পহেলা আষাঢ় ছুটি ঘোষণা করা হতো। এক প্রশাসক কবি চাঁদনী রাতে তার শহরে রাতের বেলা কিছুটা সময়ের জন্য ব্ল্যাক আউট করতেন, মানে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ করে দিতেন। এতে নগরবাসীর সুবিধা হতো জোছনাযাপনের। ধরা যাক সত্যি সত্যি একদিন কোন কবি হয়ে গেলেন মহাক্ষমতাবান। তারপর নির্বাহী আদেশে দিলেন পহেলা আষাঢ়ে বিশেষ ছুটি। আষাঢ়ে গল্প বলে একটা প্রবচন চালু আছে। আমার যে দেখছি আষাঢ়ে ভাবনায় পেয়ে বসল। এমনটা হয় নাকি! আর যদি হয়ই বা, তা হলেও কী নিশ্চয়তা আছে যে পহেলা আষাঢ়েই আজকের মতো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে? হাউস বিলডিং এলাকাই হলো উত্তরার নগরমুখী গাড়ি চলাচলের প্রধান জায়গা। সারাক্ষণই সেখানে ভিড় লেগে থাকে। মেট্রোরেলের কাজের জন্য সেখানে জটও থাকে সারাক্ষণ। বৃষ্টির মধ্যে লক্ষ্য করে দেখি ফুট ওভারব্রিজের ছাদ নেই। খুলে ফেলা হয়েছে। মেরামতের জন্য বা অন্য কারণেই হোক, এই কাজটা কর্তৃপক্ষের আষাঢ় মাসেই করতে হবে? বৃষ্টিতে বিপন্ন মানুষের কথা কি তারা একটুও ভাববেন না! প্রথম দিন থেকেই আষাঢ় তার জাত চেনাচ্ছে ঢাকায়। বৃষ্টি উপভোগ্য সন্দেহ নেই, কিন্তু এ মহানগরীতে তা দুর্যোগ ও ভোগান্তির আরেক নাম। জলাবদ্ধতা এখনও এ শহরের বড় সমস্যা। বর্ষা এসেছে প্রকৃতির নিয়ম মেনে, যদিও পঞ্জিকার দিনক্ষণ হিসাব করে অনেকেই মেতে উঠেছেন রোমান্টিকতায়। বাঙালী কিছুটা আবেগপ্রবণ জাতি, অস্বীকার করা যাবে না। ফলে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে বর্ষাবন্দনার জোয়ার লক্ষ্য করা যায়। কবিগুরু বলে গেছেন, এমন দিনে তারে বলা যায়। ফলে মনের ঝাঁপি খুলে কথা বলতে ইচ্ছে করে বহুজনের। কিন্তু যারা বাস্তববাদী, প্রতিদিন জীবিকার জন্য ঘরের বাইরে বের হতে হয়, তাদের কাছে বর্ষাকাল রোমান্টিকতার নয়, বরং বিপন্নতার সঙ্কেত। বর্ষায় জলাবদ্ধতা রাজধানীর একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষার শুরুতেই গণমাধ্যম আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৪৮ এলাকা জলাবদ্ধতাপ্রবণ। আমরা অভিজ্ঞতায় দেখি, সামান্য বৃষ্টিতেই আমাদের রাজধানী ঢাকা ডুবতে বসে। এ বিষয়ে দুই মেয়র, ওয়াসার এমডি এমনকি মন্ত্রী মহোদয় পর্যন্ত অনেক আশার বাণী শুনিয়েছেন; কথা দিয়েছেন দুর্দশা লাঘবের। কিন্তু পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। তাই কবির ভাষায় বলতেই হয়- কেউ কথা রাখেনি! একটি আধুনিক নগরীতে জলাবদ্ধতার কোন সুযোগ নেই। ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো আমাদের মহানগরগুলো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠায় এবং মরণাপন্ন দশায় উপনীত হওয়ার পরও সাবধানতা অবলম্বন করে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় এগুলো এখন জলাবদ্ধতার শিকার। শুধু জলাবদ্ধতা না বলে এটাকে মহাজলাবদ্ধতা বললেই বোধকরি সঠিক হবে। অজানা শঙ্কা ঈদের পর মহাযানজট নিয়ে ঢাকা তো ফিরল চেনা ছন্দে, কিন্তু পুরনো দুশ্চিন্তাও যে ফিরল আবার! তাতে যোগ হয়ে চলেছে অজানা আশঙ্কা। ঘনবসতির জনচাপ দেশের রাজধানীকে কোন চুলোয় নিয়ে যাবে ভবিষ্যতে? আমাদের এই দেশটার আয়তন মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার, কিন্তু জনসংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ৬৪ লাখে পৌঁছেছে। এই দেশে এখন এক কিলোমিটার জায়গায় বাস করছে ১ হাজার ১২০ জন মানুষ। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশ চীন (মোট জনসংখ্যা ১৪১ কোটি), সেখানে প্রতি এক কিলোমিটারে বাস করে মাত্র ১৪৫ জন। ম্যাকাও, মোনাকো, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ে রকম কয়েকটি ক্ষুদ্র দ্বীপ ও নগররাষ্ট্রের কথা বাদ দিলে বাংলাদেশের জনঘনত্ব এখন পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর দক্ষিণ এশিয়ার কথা বললে বাংলাদেশ এক অকল্পনীয় মাত্রার জনঘনত্বের দেশ। ভারতের জনঘনত্ব প্রতি কিলোমিটারে ৩৬৪, পাকিস্তানের ২৪৫, নেপালের ১৯, আর ভুটানের মাত্র ৪৬। সর্বশেষ জাতিসংঘের হ্যাবিটেট প্রতিবেদনে ঢাকাকে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কংক্রিটের জঙ্গল ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৪ হাজার ৫০০ মানুষ বাস করে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে ইউএন হ্যাবিটেট। ঘনবসতির দিক দিয়ে এক নম্বর অবস্থানে আছে ঢাকা, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই, তৃতীয় অবস্থানে কলম্বিয়ার শহর মেডেলিন এবং চতুর্থ অবস্থানে ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলা। বাংলাদেশের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (নিপোর্ট) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বর্তমানে ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ বাস করছে। এ চিত্র নিঃসন্দেহে হতাশার। ঢাকায় যখন গলিপথেও হাঁটি তখনও সতর্ক থাকতে হয় এই বুঝি কারও গায়ে ধাক্কা লাগল। মানবিক পরিবর্তন সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠলে প্রতিটি মানুষেরই জীবনে নতুন আরেকটি দিন শুরু হয়। প্রাতঃরাশ করতে বসে যদি সেই জীবনকে গ্লানিকর মনে হয় দিনের প্রথম আহারে দারিদ্র্যের লক্ষণ থাকায়, তবে মানুষের মন ছোট হতে বাধ্য। যারা বন্দী, তারাও মানুষ। তাদের দিনের প্রথম আহারটি ছিল সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই রুটি ও সামান্য গুড়। অনেক সময় পেরিয়ে গেছে, এটা সংশোধিত হয়নি। আমাদের মানবপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা দেখে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক চলতি সপ্তাহ থেকেই সারাদেশের কারাগারে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। সবার জন্য দুই দিন সবজি খিচুড়ি, এক দিন হালুয়া রুটি, বাকি দিনগুলোতে সবজি রুটি দেয়া হবে। এখন একজনের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ খাবার দেয়া হচ্ছে। শুধু সকালে নয়, দুপুরে ও রাতে স্বাস্থ্যসম্মত সুষম খাবার দেয়া হচ্ছে। বিশেষ দিনগুলোয় বিশেষ খাবার তো চালু থাকছেই। তথ্য থাকুক সুরক্ষিত সেদিন বাসায় ফিরে শুনি থানা থেকে লোক এসে একটি ফরম দিয়ে গেছে, সেটি পূরণ করে ছবিসহ জমা দিতে হবে। একটু কৌতূহলী হয়ে উঠি। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, ঢাকার ৫০টি থানার বাসিন্দাদের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম তিন বছর পর আবার শুরু করেছে পুলিশ। ‘নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকে নিরাপদে রাখুন’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ ২০১৯’ কার্যক্রমটি চলবে সামনের শুক্রবার পর্যন্ত। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সন্ত্রাস, উগ্রবাদ ও অপরাধের হুমকি থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষিত রাখতে এই তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম। পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে : ‘পুলিশের কাছে বাসিন্দাদের তথ্য থাকলে কোন অপরাধী যেমন সহজে অপরাধ করার সাহস করবে না, তেমনি কোন ঘটনা ঘটলে আমরা সহজেই অপরাধীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারব।’ সম্প্রতি ঢাকার পুলিশের ওপর কয়েক দফা বোমা হামলার ঘটনা ঘটে, যেসব হামলার দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস। ফর্মে ভাড়াটিয়া/বাড়িওয়ালার নাম, পিতার নাম, জন্ম তারিখ, বৈবাহিক অবস্থা, স্থায়ী ঠিকানা, পেশা ও কর্মস্থলের ঠিকানা, ধর্ম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জরুরী যোগাযোগ নম্বর, পরিবারের সদস্যদের বিবরণ, গৃহকর্মী ও ড্রাইভারের বিবরণ, আগের বাসার বাড়িওয়ালার নাম, ফোন ও ঠিকানা (ভাড়াটিয়াদের ক্ষেত্রে) ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে। এ ছাড়া ফর্মে ভাড়াটিয়া বা মালিকদের এক কপি ছবি সংযুক্ত করতে হবে। ফর্মের একটি কপি বাড়ির মালিক সংরক্ষণ করবেন, অপর কপিটি স্থানীয় থানায় জমা দিতে হবে। পুলিশকে দেয়া এ তথ্যের গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকুক, এটিই প্রত্যাশা। ঢাকার এক বাসিন্দা বললেন, ‘পুলিশকে তথ্য দিতে আপত্তি নেই, কিন্তু সেখানে আমার, আমার পরিবারের সকল সদস্যের গোপনীয় তথ্য, এনআইডি নম্বর বা ফোন নম্বর থাকছে। সেটা কি পুলিশ ঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে?’ কবি বনাম কথাসাহিত্যিক প্রীতি ক্রিকেটম্যাচ বিশ্বকাপ ব্রিকেটের হাওয়া লেখকমহলেও যে ভালোমতো বয়ে যাচ্ছে তার একটি নমুনা হলো সামনের শুক্রবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কবি বনাম কথাসাহিত্যিক প্রীতি ক্রিকটম্যাচ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মাঠে আগামী শুক্রবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে এই অভিনব ম্যাচ। বিশাল তালিকা করে পোস্টারও ছাপিয়েছেন লেখকসমাজ। কবিদের টিমের নামকরণ করা হয়েছে কবিগুরুর কাব্য ‘গীতাঞ্জলি’র নামে, আর কথাসাহিত্যিকদেরটা আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের উপন্যাস ‘খোয়াবনামা’-র নামে। প্রতি টিমে ১৬ জন খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আছেন টিম ম্যানেজার, কোচ, তাঁদের সহকারীবৃন্দ, বিশাল স্বেচ্ছাসেবক দল। ধারাবিবরণী দেবেন একদল ধারাভাষ্যকার, ফেসবুক লাইভে সম্প্রচারের ব্যবস্থা আছে। পুরস্কার প্রদান করবেন কুড়িজনেরও বেশি লেখক। নানাভাবে নারী লেখকদের সম্পৃক্ত করার প্রয়াস রয়েছে। সব মিলিয়ে হৈ হৈ কা- রৈ রৈ ব্যাপারই বটে। কদিন আগে অনুশীলনী ম্যাচও হয়ে গেছে বলে জানালেন অন্যতম আয়োজক কবি অনিকেত শামীম। তিনি বলেন, কবি বনাম কথাসাহিত্যিক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আজ (১৪ জুন) ছিল প্রথম অনুশীলন। ১২ ওভারের খেলা হয়েছে। খোয়াবনামা ৫ উইকেটে জিতেছে। কবিদেও চেয়ে তাদের টিম স্পিরিট আম্পায়ার হিসেবে আমার কাছে ভালো লেগেছে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন গল্পকার মোজাফফর হোসেন। সিনিয়ির লেখক আবদুর রাজ্জাক এ নিযে লিখেছেন: ‘খেলায় হারজিত থাকবেই, আনন্দ আহরণটাই বড় কথা। প্রাক্টিস ম্যাচেই আমাদের অর্ধেক আনন্দ প্রাপ্তি ঘটেছে। আজ গীতাঞ্জলি হেরেছে, আগামীতে ফাইনালে জিতবে, জিতবে ইনশাআল্লাহ্। সাহিত্যজগৎ প্রায় ঝিম মেরে গিয়েছিলো। এই খেলা শুরুর মধ্য দিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গেছে, একটা আনন্দ আনন্দ ভাব শুরু হয়ে গেছে। জয়তু ক্রিকেট, জয় গীতাঞ্জলি।’ ১৬ জুন ২০১৯ [email protected]
×