ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নিখোঁজ ভাগ্নেকে উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করলেন সোহেল তাজ

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ১৮ জুন ২০১৯

  নিখোঁজ ভাগ্নেকে উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করলেন সোহেল তাজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাগ্নে এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। এ জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। কোনভাবেই এ অবস্থা আশা করতে পারি না যে, দেশের কোন নাগরিক গুম কিংবা অপহৃত হোক। কার কী পরিচয় তা মুখ্য বিষয় নয়। এ ধরনের ঘটনা কারও কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। আশা করছি ভাগ্নেকে ফিরে পাব। উল্লেখ্য, গত ৯ জুন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে সোহেল তাজের ভাগ্নে সৈয়দ ইফতেখার আলম ওরফে সৌরভ অপহৃত হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে সৌরভকে অপহরণ করা হয় বলে সেদিন রাতেই তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ ইদ্রিস আলম পাঁচলাইশ থানায় জিডি করেন। এর আগে শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে ভাগ্নেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সোহেল তাজ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ সৌরভের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান ও বাবা ইদ্রিস আলম। সৌরভের মা বলেন, আমি একজন মা হিসেবে আমার হারানো ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি আমার ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি যেন ব্যবস্থা নেন। ১৭ সালে সৌরভের তৈরি সিনেমা ‘বেঙ্গলী বিউটি’ দেশ-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করে। সে সময় সওদা নামে এক মেয়ের সঙ্গে তার পরিচয় ও যোগাযোগ শুরু হয়। পর্দানশীন পরিবারের মেয়ে সওদা মোবাইল ফোনে প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় সওদা। এর মধ্যে সওদার অমতে পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। তবে সে বিয়ে ’১৮ সালেই ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে সওদার বাবা আজাদ চৌধুরী আমার ছেলেকে দোষারোপ করে আমার ছেলে ও আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। এরই জেরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সৌরভকে উত্তরা র‌্যাব সদর দফতরে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। মোবাইলের সব ডেটা ডিলেট করে সেখানেও সওদার বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হয়। সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বনানী থানায় ওসি সৌরভকে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। এক সপ্তাহ পর এনএসআইর দুই কর্মকর্তার সঙ্গে একটি রেস্তরাঁয় বৈঠক হয়। সেখানে সৌরভের ঘটনা তদন্তের কথা জানানো হয়। সেখানেও সওদার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। সৌরভ কোন্্ কোন্্ দেশ ঘুরেছে তা জানতে চাওয়া হয়। পরে তারা প্রাপ্ত তথ্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানোর কথা বলে চলে যান। ’১৮ সালের ১৬ মে বনানীতে বন্ধুর বাসা থেকে র‌্যাব ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে একদল লোক সৌরভকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর গত ১৭ মে রাত পৌনে বারোটায় একই কায়দায় ফেরত দিয়ে যায়। এই দীর্ঘ সময় তারা সওদার বিষয়ে সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে র‌্যাব তাকে চাকরির প্রলোভন দেখায়, কাগজপত্র চায়। এরপর গত ৮ জুন বেলা এগারোটা-বারোটার দিকে র‌্যাব ফোন করে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি করতে বলে।
×