ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আতিকুল হক চৌধুরীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ১৭ জুন ২০১৯

আতিকুল হক চৌধুরীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের অন্যতম বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব আতিকুল হক চৌধুরীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আতিকুল হক চৌধুরী ছয় দশক ধরে বেতার ও টেলিভিশনে কাজ করেছেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিন শতাধিক নাটক প্রযোজনা করেছেন। সত্তর ও আশির দশকের কুশলি এই নির্মাতা গৎবাঁধা প্রেম কিংবা হালকা সামাজিক বক্তব্যধর্মী বহমান ধারার বিপরীতে টিভি নাটকে সামাজিক ও সৃজনশীল অঙ্গীকার, বিশ্বের ধ্রুপদী সাহিত্যের সফল নাট্যরূপ এবং সময়োপযোগী বলিষ্ঠ সামাজিক বক্তব্যধর্মী নাটক উপস্থাপন করেন। এর মাধ্যমে সরকার নিয়ন্ত্রিত এই গণমাধ্যমকে এক বিশেষ গ্রহণযোগ্য মর্যাদায় আসীন করেছিলেন আতিকুল হক চৌধুরী। বলা হয়ে থাকে তিনি ছিলেন নাট্যশিল্পী তৈরির কারিগর। ষষ্ঠ মৃত্যুদিবসে এই মহান নাট্যব্যক্তিত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। আতিকুল হক চৌধুরী বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার উলানিয়া গ্রামের প্রসিদ্ধ জমিদার বাড়ির সন্তান। তিনি ১৯৩১ সালের ১৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে রেডিও পাকিস্তানে যোগ দেয়ার মাধ্যমে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে। বিটিভিতে কর্মরত অবস্থায় দেশবাসীকে অসংখ্য সেরা নাটক উপহার দেন তিনি। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপমহাপরিচালক ছিলেন। এরপর তিনি বেসরকারী একুশে টেলিভিশনের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগেও তিনি ১১ বছর শিক্ষকতা করেছেন। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বিটিভির সেরা প্রযোজকসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। শ্রেষ্ঠ নাট্য প্রযোজক হিসেবে তিনি ১৯৭৬ সালে জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বিটিভির সেরা প্রযোজকসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তার নিজের লেখা নাটকের সংখ্যা অর্ধশত। দর্শকনন্দিত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আছে ‘বাবার কলম কোথায়’, ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’, ‘নীল নকশার সন্ধানে’, ‘জলাশয় কতদূর‘, ‘সুখের উপমা’ ‘গৃহবাসী, ‘জুলেখার ঘর’, ‘সৈকতে সারস’, ‘কোচ’, ‘এখন জোয়ার’, ‘রসগোল্লা’, ‘বকুলপুর কতদূর’, ‘সার্কাস দেখুন’ প্রভৃতি। এদিকে আতিকুল হক চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেল পাঁচটায় বুদ্ধিজীবী কবরস্থান প্রাঙ্গণে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে তার আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিত থাকতে বাঙালী সমগ্র জাদুঘর নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
×