ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

একমির পেনিসিলিন ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু

প্রকাশিত: ১০:৪০, ১৬ জুন ২০১৯

 একমির পেনিসিলিন ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ধামরাইয়ের দুলিভিটায় স্থাপিত পেনিসিলিন ইউনিটে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। পেনিসিলিন ইউনিটটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থে বাস্তবায়নাধীন একমির ৩টি প্রকল্পের অন্যতম। কোম্পানিটি জানিয়েছে, সফলভাবে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষেই ইউনিটটিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থে একমি ল্যাবরেটরিজ যে ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, সেগুলো হলো স্টেরয়েড ও হরমোন ইউনিট, পেনিসিলিন ইউনিট ও এ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) প্রকল্প। নিরীক্ষা ফার্ম পিনাকী এ্যান্ড কোম্পানির প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একমি ল্যাবরেটরিজ আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহীত ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে ৩৬৪ কোটি টাকা খরচ করেছে। এর মধ্যে স্টেরয়েড ও হরমোন প্রকল্পে ১৬৬ কোটি, পেনিসিলিন প্রকল্পে ৪০ কোটি ও এপিআই প্রকল্পে ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ বাবদ ১৩৬ কোটি ও আইপিও প্রক্রিয়ার খরচ নির্বাহে ৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্র অনুযায়ী, হরমোন ও স্টেরয়েড এবং পেনিসিলিন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পুরোটাই চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে ব্যয় করা হয়েছে। তবে এপিআই প্রকল্পে এখনও কিছু অর্থ অব্যবহৃত রয়েছে। অবশ্য কোম্পানিটির ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এপিআই প্রকল্পে আইপিওর অর্থ ব্যয়ের সময়সীমা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত মার্চে একমি ল্যাবরেটরিজের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, আইপিওর অর্থে স্থাপিত স্টেরয়েড ও হরমোন ইউনিট এবং পেনিসিলিন ইউনিটে এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। জুন অর্থাৎ চলতি মাসের মধ্যেই ইউনিট দুটিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে কর্মকর্তারা সে সময় জানিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পেনিসিলিন ইউনিটে বাণিজ্যিক উৎপাদনের ঘোষণা দিল। কোম্পানি সূত্র বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে আমাদের স্টেরয়েড ও হরমোন ইউনিট এবং পেনিসিলিন ইউনিটের কাজ শেষ হয়েছে। এরপর থেকেই ইউনিট দুটিতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন চালানো হয়েছে। ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে নতুন ইউনিটে বাণিজ্যিক উৎপাদন চালুর আগে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন চালিয়ে দেখতে হয় সবকিছু ঠিক আছে কিনা। সফল পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে পেনিসিলিন ইউনিটে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই স্টেরয়েড ও হরমোন ইউনিটেও বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে। নতুন দুই ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে এলে কোম্পানির বিক্রি ও মুনাফা বাড়বে। উল্লেখ্য, প্রথমে আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ একমি ল্যাবরেটরিজের স্টেরয়েড ও হরমোন ইউনিট, অনকোলজি ইউনিট এবং আয়ুর্বেদিক, মডার্ন হারবাল ও নিউট্রাসিউটিক্যাল ইউনিট স্থাপনে ব্যয় করার কথা ছিল।
×