ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৩৩.৭৭ শতাংশ

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ১৬ জুন ২০১৯

শেয়ারবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৩৩.৭৭ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেন ৩৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমেছে। আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাবের সপ্তাহে খাতওয়ারি বিভিন্ন কোম্পানির দর বেড়েছে। বেশিরভাগ দিনই শেয়ারবাজারে সক্রিয় ছিল বিনিয়োগকারীরা। যদিও ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির আগেই সূচক ও লেনদেন ইতিবাচক প্রবণতা বজায় ছিল। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৫ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬ হাজার ৪৪২ টাকা। আগের সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮৪১ কোটি ৪৭ লাখ ৫২৬ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৬২১ কোটি ৯২ লাখ ৫ হাজার ৯১৬ টাকা। গেল সপ্তাহে সব ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। আলোচ্য সময়ে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারের দখলে ছিল ৮৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪২ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৯৯ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৫২৬ টাকা। লেনদেনে গেল সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারের অংশগ্রহণ ছিল ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। এসব শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২৬ কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা, আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৪৬ কোটি ২০ লাখ ২২ হাজার টাকা। ডিএসইতে নতুন কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এন’ ক্যাটাগরির অংশগ্রহণ ছিল ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। এসব শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ৯২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৫ কোটি ৯৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। ডিএসইর লেনদেনে গেল সপ্তাহে ‘জেড’ ক্যাটাগরির দখলে ছিল দশমিক ৫৬ শতাংশ। এসব শেয়ারের লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, আগের সপ্তাহে এসব শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ ২১ হাজার টাকা। এদিকে, গত সপ্তাহে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে ৩৫৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ২৬০টি, কমেছে ৭০টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি এবং লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারটি সর্বশেষ ২৮ টাকা ৪০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ৩১ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। দরবৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পিপলস ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ২৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২৪ টাকা ২০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ১০ কোটি ৪০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৮ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা। বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ২০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২৪ টাকা ৮০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ৪ কোটি ৫২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৯০ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ টাকা। এই তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সাফকো স্পিনিং মিলস, সোনালী আঁশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড, নর্দার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স ও বিডি ল্যাম্পস। ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষে ছিল মার্কেন্টাইল ব্যাংক। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারটি সর্বশেষ ১৫ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ৭ কোটি ৩০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা। দর হারানোর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়্যাল ফান্ড। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। কোম্পানিটি সর্বশেষ ৭ টাকা ২০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ১৯ লাখ ১২ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক দর হারানোর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ। কোম্পানিটি সর্বশেষ ১০ টাকা ২০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ১ কোটি ৬৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৩৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ টাকা। তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইমাম বাটন, এনসিসি ব্যাংক, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়্যাল ফান্ড, খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং, এমারেল্ড অয়েল ও আরামিট সিমেন্ট।
×