ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গেইল, রাসেল, হোপকে দ্রুত আউট করতে হবে ॥ ওয়ালশ

প্রকাশিত: ১০:৩২, ১৬ জুন ২০১৯

 গেইল, রাসেল, হোপকে দ্রুত আউট করতে হবে ॥ ওয়ালশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শাই হোপ; ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তিন ব্যাটসম্যান যে কোন দলের জন্যই আতঙ্কের। তাদের আটকে রাখা গেলে ভাল। না হলেই বিপদ। এ তিন ব্যাটসম্যান যে কী মারমুখী ব্যাটিং করেন, তা তো সব দলেরই জানা। আর তাই বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও এই তিন ব্যাটসম্যানকে দ্রুত আটকাতে হবে, এমনই মনে করছেন। তিনি বলেছেন, ‘কিছু ধারণা ও পরিকল্পনা আছে আমাদের। ওরা দুজনই (গেইল ও রাসেল) খুব বিপজ্জনক ক্রিকেটার, ওদের থামাতে হবে। দ্রুত ওদের আউট করে খেলাটা নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। আমি নিশ্চিত, দল হিসেবে আমরা ভাল পারফর্ম করব।’ সঙ্গে হোপ নিয়ে বলেন, ‘হোপ আমাদের বিপক্ষে সবসময়ই ভাল করেছে। বিশ্বকাপের আগে দারুণ একটি টুর্নামেন্ট কাটিয়ে এসেছে। দারুণ ব্যাটসম্যান সে। আমাদের মনোযোগ দিতে হবে নিজেদের কাজে। পরিকল্পনা ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলেই আমরা খুশি থাকব।’ গেইল, রাসেল, হোপকে নিয়েই বেশি ভাবনা হচ্ছে। টনটনের মাঠ যে ছোট্ট। এই মাঠে শট খেলা ব্যাটসম্যানরা সাফল্য পেতে পারেন। শট যে কী পরিমাণ খেলতে পারেন, ক্যারিবিয়ান এ তিন ব্যাটসম্যান তা বিশ্ব ক্রিকেট এর আগেও দেখেছে। আর তাই তাদের নিয়ে বিশেষ ভাবনা, পরিকল্পনা করতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। যে কোন একজন যদি ব্যাট হাতে ঝলক দেখান, তাহলেই যে জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে পারে। ওয়ালশ তাই জানিয়েছেন, ‘মাঠের আকারের কারণে আমাদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে পুনরায় ভাবতে হবে। সেভাবেই পরিকল্পনা ও কৌশল সাজাতে হবে। তুলনামূলকভাবে বেশ ছোট মাঠ এটি। আমাদের তাই বোলিংয়ে নিখুঁত ও ধারাবাহিক হতে হবে, চাপ সৃষ্টি করতে হবে।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সম্প্রতি বাংলাদেশই ফেবারিট থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা জয়ের মধ্যে আছে বাংলাদেশ। সোমবার টনটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ লড়াইয়ে নামবে। যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে দুই দলই ম্যাচটি জিততে চাইবে। দুই দলের অবস্থানই যে উন্নতি করতে হবে। দুই দলই ৪ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পেয়েছে। দুই দলের পঞ্চম ম্যাচ এটি। আর তাই জেতার কোন বিকল্প নাই। লীগ পর্ব অতিক্রম করতে হলে দুই দলকেই এই ম্যাচে জিতে থাকতে হবে। ওয়ালশ বলেন, ‘ওরা তো বিশ্বকাপে পূর্ণ শক্তিতে এসেছে। তবে আমরা দলের দিকে তাকাচ্ছি না, এমনিতেই খেলাটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলছি। সেটা ধরে রাখতে হবে। যতক্ষণ না আমরা নিশ্চিত কিছু ধরে নিচ্ছি বা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি, আমাদের ভাল না করার কারণ নেই।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘বিগ হিটার’রা যেমন ভাবনায় ফেলছে। তেমনি পেসার ওশানে থমাস, শেলডন কটরেল, জেসন হোল্ডার, আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্রাথওয়েটরাও চিন্তা তৈরি করছে। বিশেষ করে থমাস, কটরেল ও হোল্ডারের গতিই বাংলাদেশকে ভোগাতে পারে, এমনও মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ওয়ালশের কাছে গতি নয়, লাইন ও লেন্থই আসল। তিনি বলেছেন, ‘গতি তো কখনও কখনও বাড়তি সাহায্য করেই। তবে আমার মতে, ধারাবাহিকতা ও নিয়ন্ত্রণই আসল। আর প্রয়োজন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। অন্য অনেকের মতো ১৪০-১৫০ গতি না থাকলেও সেটা পুষিয়ে দেয়া যায় বৈচিত্র্য দিয়ে। আমরা সেভাবেই সফল হয়েছি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘ছেলেরা অনুশীলন ঘাম ঝরাচ্ছে ঠিক জায়গায় বল রাখতে। ক্রিকেটে একটি-দুটি খারাপ দিন আসে, আরও আসবে। আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। সেই সামর্থ্যও আমাদের আছে।’ বাংলাদেশ দলে যারা একাদশে খেলছেন, তাদের কেউই টানা ১৪০ কিমি গতিতে বল করার মতো ক্ষমতা রাখেন না। এরমধ্যে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে তো আলোচনাই শুরু হয়ে গেছে। তিনি যে ফর্মহীনতায় ভুগছেন। পুরো ১০ ওভারই ঠিকমতো করতে পারছেন না। আবার রানও দিচ্ছেন বেশি। কিন্তু মাশরাফির উপর আস্থা আছে ওয়ালশের, ‘এটা খুবই অপ্রয়োজনীয় (প্রশ্ন তোলা)। আমরা সবাই জানি মাশরাফি দারুণ লড়াকু। ওর খানিকটা চোট সমস্যা আছে, শতভাগ ফিট নয় এখনও। তবে অধিনায়ক হিসেবে সে সবসময়ই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চায়। এর মধ্যেও ভাল স্পেল সে করেছে। ওর দেখভাল খুব ভালভাবে করতে হবে আমাদের। সামনে থেকে দেশকে নেতৃত্ব দিতে সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এখনই প্রশ্ন তোলার সময় হয়নি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘সমর্থকেরা অবশ্যই সবসময় শুধু জয় চায়। আমরা টানা দুটি ম্যাচ হেরেছি, একটি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। কয়েকটি জয় পেলেই তারা দেখবে দলের গভীরতা কতটা। ম্যাশ (মাশরাফি) দুই দিন বিশ্রাম পেয়েছে। আশা করি শারীরিকভাবে ভাল অবস্থায় থাকবে এখন।’
×