ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘অদম্য বাংলা’ ॥ ক্যাম্পাস ভাস্কর্য

প্রকাশিত: ০৯:১২, ১৬ জুন ২০১৯

 ‘অদম্য বাংলা’ ॥ ক্যাম্পাস ভাস্কর্য

ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী শত্রুসেনাদের পরাজিত করে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ। লাভ করেছি একটি নিজস্ব মানচিত্র ও পতাকা। বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ঠিকানা। নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ ও জাগ্রত করার লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নির্মাণ করা হয়েছে ‘অদম্য বাংলা’ নামের একটি ভাস্কর্য। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে অদম্য বাংলা ভাস্কর্যটি। স্থপতি শিল্পী গোপাল চন্দ্র পাল অনন্য দক্ষতায় মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহের শৈল্পিক রূপ প্রদান করেছেন। প্রায় ২৩ ফুট লম্বা এই ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ ২০১১ সালের মাঝা-মাঝিতে শুরু হয়ে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে শেষ হয়। ভাস্কর্যের মূল স্থাপনায় রয়েছে একজন নারীসহ চার বীর মুুক্তিযোদ্ধার নজরকাড়া বিপ্লবী ভঙ্গিমা। যা দর্শনার্থীদের মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি নারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দেয় । মূল ভাস্কর্যের চারপাশ উঁচু বেদিতে ঘেরা। বেদির চারদিকটা শৈল্পিক কারুকার্য ক্ষচিত। যেখানে পোড়ামাটির আচরে তুলে ধরা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি ও পাক সেনাদের বর্বরতার চিত্র। আরও রয়েছে যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের গৌরবময় স্থিরচিত্র। এক কথায় মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয় এই ভাস্কর্যটি। প্রকাশভঙ্গির সরলতা, গতিময়তা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তেজস্বী প্রকাশের জন্য এই ভাস্কর্যটি অনবদ্য। প্রতিদিনই অগণিত মানুষ এটি দেখতে ক্যাম্পাসে ভিড় জমায়। ছবি ও লেখা : মোঃ রেদোয়ান হোসেন
×