স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন জুলধা ইউনিয়নে এক কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে রাতভর গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ৫ বখাটেকে গ্রেফতার করেছে। এরা হচ্ছে- থানা এলাকার চরলক্ষ্যার মোঃ ইলিয়াস, জুলধার আলী প্রকাশ চঙ্কু, পশ্চিম চরলক্ষ্যার ইউনুস, কামাল উদ্দিন ও মোঃ সেকান্দার।
পুলিশ জানায়, গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার রাতে। ওই সময় এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে এলাকার জুলধার শুক্কুর ব্রিকফিল্ডের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে বখাটেরা রাতভর ধর্ষণ করে। এরপর পরদিন সকালে কিশোরীকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে অভিযোগ পেয়ে কর্ণফুলী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত উক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
সৈয়দপুরে তিনজন
সংবাদদাতা সৈয়দপুর, নীলফামারী থেকে জানান, যুবতীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আমজাদ হোসেন (২০), আব্দুল খালেক(১৮) ও আসাদুল ইসলাম আসাদ (২২) নামে তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিনে এবং রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণ মামলার তিন যুবক আমজাদ হলেন, সৈয়দপুর পৌরসভার কয়া গোলাহাটের দক্ষিণপাড়ার আকবর আলীর পুত্র, আব্দুল খালেক একই এলাকার ডাঙ্গাপাড়ার ফজলুল হকের পুত্র এবং আসাদ কয়া গোলাহাটের সরকারপাড়ার জোবায়দুল ইসলামের পুত্র। জানা যায়, ১২ জুন রাতে সৈয়দপুর শহরের কয়া গোলাহাট বাইপাস মহাসড়কের পাশে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষিতা বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই দিনই আমজাদ হোসেন, আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দিনাজপুর শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে আসাদ নামে ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়। সৈয়দপুরের কয়া গোলাহাট এলাকার সরকারপাড়ার জোবায়দুল ইসলামের পুত্র বলে জানা গেছে। সূত্র মতে, ঢাকায় এক সিরামিক ফ্যাক্টরিতে কাজ করত সৈয়দপুর উপজেলার দক্ষিণ সোনাখুলী গ্রামের এক যুবতী। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমজাদ হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। ঘটনার দিন প্রেমিকাকে নিয়ে দিনাজপুরের বিভিন্ন পিকনিক স্পট ঘুরে সন্ধ্যায় সৈয়দপুরে আসে আমজাদ। এরপর সৈয়দপুর শহরের ওয়াবদা নামক এলাকার পাতাকুঁড়ি বিনোদন পার্কের রাস্তায় একটি পরিত্যক্ত দোকানঘরে আসাদ ও খালেক নামে দুই বন্ধু মিলে যুবতীকে আটকে সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
