ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিউইয়র্কে গাড়িচাপায় বাংলাদেশী নিহত

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ১৫ জুন ২০১৯

 নিউইয়র্কে গাড়িচাপায়  বাংলাদেশী  নিহত

বিডিনিউজ ॥ নিউইয়র্কে গাড়িচাপায় এক বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। তার নাম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (২৯), গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। সম্প্রতি ব্রুকলিনের ইস্ট ১০৫ ও এ্যাভিনিউ ডি-তে রাতেরবেলা এক নারী চালকের গাড়িচাপায় তিনি মারা যান। নিউইয়র্ক পুলিশ জানায়, ট্রেজার লগিং (২২) নামের ওই নারী মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এ সময় তার চার বছর বয়সী ছেলে সঙ্গে ছিল। এক পর্যায়ে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আব্দুল্লাহর ই-সাইকেলকে চাপা দেন। ঘটনার পরপরই আব্দুল্লাহকে স্থানীয় ব্রুকডেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার বিকেলে ব্রুকলিনে আব্দুল্লাহর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আব্দুল্লাহর লাশ শুক্রবার সন্ধ্যায় জন এফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করছে ঢাকার উদ্দেশ্যে। নোয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে বলে জানান প্রবাসীরা। এ ঘটনায় গাড়িচালককে আটক করেছে পুলিশ এবং ৫০ হাজার ডলার বন্ডে জামিন দিয়েছে ব্রুকলিনের ক্রিমিনাল কোর্ট। চালক লগিংসের বিরুদ্ধে হত্যা ও মদ্যপ অবস্থায় শিশুর জীবন বিপন্ন করে গাড়ি চালানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লগিংসের এ্যাটর্নি জামাল জনশন আদালতকে জানান, গাড়ি চালানোর সময় তার মক্কেল মদ্যপ ছিলেন। গাড়িটি তিনি কেনেন মাত্র তিনদিন আগে। গাড়ির ইঞ্জিন বেল্ট ও ব্রেকে সমস্যা ছিল। ম্যানহাটানের হারলেমে বসবাস করেন আব্দুল্লাহর চাচা ট্যাক্সিচালক বেলাল হোসেন। তিনি জানান, ব্রুকলিনের ইস্ট নিউইয়র্কে একটি বাসায় চার বাংলাদেশী বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন আব্দুল্লাহ। উবারের ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করতেন তিনি। বেলাল হোসেন বলেন, আব্দুল্লাহ রাজনৈতিক কারণে ২০১৭ সালে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। সে সময় টেক্সাসের ডিটেনশন সেন্টারে কাটাতে হয় ৪ মাস। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন আব্দুল্লাহ। ইতোমধ্যে তা মঞ্জুর হয়েছে। শীঘ্র গ্রীনকার্ডের আবেদন করার কথা ছিল। আব্দুল্লাহর রুমমেট আরিফুর রহমান সবুজ ও খোকন উল্লাহ জানান, তারা নিজেদের অবস্থান জানতে ‘জেনলি’ নামের একটি এ্যাপস ব্যবহার করেন। ঘটনার দিন রাতে ওই এ্যাপে তারা দেখেন, আব্দুল্লাহ একটি স্থানে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবস্থান করছেন। এতে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরপর তারা তাকে ফোন করেন। কোন সাড়া না পেয়ে তারা সেখানে চলে যান। সেখানে পুলিশ তাদের জানায়, আব্দুল্লাহ মারা গেছে।
×