ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সেপটিক ট্যাঙ্কের গ্যাসে বিষক্রিয়ায় দুই যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ১৫ জুন ২০১৯

সেপটিক ট্যাঙ্কের গ্যাসে  বিষক্রিয়ায় দুই যুবকের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ১৪ জুন ॥ নড়িয়া উপজেলার পাঁচক গ্রামে শুক্রবার দুপুরে সালাহউদ্দিন গোরাপীর বাড়ির নবনির্মিত ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্কের সেন্টারিংয়ের কাঠ খুলতে গিয়ে গ্যাস বিষক্রিয়ায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- উপজেলার পাঁচক গ্রামের শাহআলম গোরাপী, ছেলে শাহাদাত গোরাপী (২০) ও লিটন খানের ছেলে তারেক খান (২০)। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে আরও ৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, সালাহ উদ্দিন গোরাপী নবনির্মিত ভবনে দুই মাস আগে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়। ট্যাঙ্কের ঢাকনা বন্ধ ছিল। প্রথমে ওই ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে সেন্টারিংয়ের কাঠ খুলতে যান শাহাদাত গোরাপী। এ সময় তিনি ট্যাঙ্কের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করতে ট্যাঙ্কে নামেন তারেক খান। তিনিও একইভাবে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনা দেখে বাড়ির মালিক সালাহ উদ্দিন গোরাপী দৌড়ে পালান। এ সময় স্থানীয় রুবেল (৩৫), অপু বাছার (২৫) ও আজিজুল গোরাপী (৩৩) তাদের উদ্ধার করতে ওই ট্যাঙ্কে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদাত গোরাপী ও তারেক খানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে আজিজুল গোরাপীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ জানান, শুক্রবার দুপুরের দিকে সালাউদ্দিন গোরাপীর বাড়িতে নবনির্মিত সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর সেন্টারিংয়ের কাঠ খুলতে নামেন শাহাদাত গোরাপী তখন তিনি আহত হন। শাহাদাতকে উদ্ধার করতে ট্যাঙ্কে নামেন আজিজুল বাঘা (৩৫), রুবেল গোরাপী (২৫), অপু গোরাপী (২৬) ও তারেক খান (২০)। তখন তারা গুরুতর আহত হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা ট্যাঙ্কের একাংশ ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদাত গোরাপী ও তারেক খানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
×