ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কিরঘিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দেয়া নেতাদের সম্মানে কিরঘিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সুরেনবে জেনিবেকোভ জিনবেকোভ এক ভোজসভার আয়োজন করেন। এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কোন প্রকার অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য ভোজসভার সময়ও প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ইমরান খানের মধ্যে কোন শুভেচ্ছা বিনিময় হয়নি। এনডিটিভি।
সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি তার অবস্থানকে পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আলোচনা পুনরায় শুরু করার আগে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বলা প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে বলেন, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে মুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। তবে এই পর্যায়ে আমরা তা ঘটতে দেখছি না।
আমরা আশা করি, পুনরায় আলোচনা শুরুর আগে ইসলামাবাদ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি আলাদাভাবে লেখা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের কাছে পাঠানো চিঠিতে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য তাগিদ দেন। এসসিও সম্মেলনের প্রাক্কালে তারা কাজটি করেন, যাতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করা যায়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ইমরান খান মোদিকে চিঠি লেখেন, যাতে কাশ্মীরসহ সব বিষয় নিয়ে সংলাপের আহবান জানান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: