ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তালতলীতে দুইপক্ষের সংঘর্ষ ॥ আহত ৩০

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ১৪ জুন ২০১৯

 তালতলীতে দুইপক্ষের সংঘর্ষ ॥ আহত ৩০

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী বরগুনা, ১৩ জুন ॥ বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিদ্রা বাজারে ব্যানার পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বুধবার রাত সাড়ে ৮ টায় দিকে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর ও উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকরা তার গাড়ি ভাংচুর করেছে। ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় তালতলী থানায় মামলা হয়েছে। গুরুতর আহতদের পটুয়াখালী মেডিক্যাল ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার নিদ্রা বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ মনিরুজ্জামান মিন্টুর সমর্থকরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের কর্মী- সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয়পক্ষ লাঠিসোটা ও দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী দু’পক্ষের ধাওয়া, পাল্টাধাওয়ায় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের সমর্থকরা আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ও স্থানীয় মিরাজ মিয়ার মৎস্য আড়ৎ ভাংচুর করেছে। দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত দেলোয়ার মোল্লা, কাওসার, আল-আমিন, কবির মোল্লা,আলী আজগর খান, সগির আকন ও রাসেল আকনসহ ১২ জনকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নিদ্রা বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কয়েক কর্মী-সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয়পক্ষ লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
×