ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘ঠিকাদারের কাজ এমনই হয়’

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ১৪ জুন ২০১৯

 ‘ঠিকাদারের কাজ  এমনই হয়’

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৩ জুন ॥ শহরের মাঝে চার লেনের সড়কের কাজ যখন শেষ করেছেন ঠিকাদারের লোক তখনই দেখা গেল ভুলের কারণে একটি অংশে ড্রেনের স্লাব আর সড়ক সমান হয়ে গেছে। দ্রুত সেই ভুল সামাল দিতে নিয়ে আসা হলো ৩ নম্বর কিছু ইট আর সড়কের ডিভাইডার থেকে তুলে নেয়া হলো ময়লা বালু। সেখানেই মিশিয়ে কাজ শেষ করা হলো। শুরু থেকেই নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করে আসার বিস্তর অভিযোগ ছিল ঠিকাদারের প্রতি। সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের মুখে একবার ইট ফেরত নিতেও বাধ্য হয় তারা। নিজের তৈরি ড্রেনের স্লাব ভেঙ্গে ঠিকাদারের গাড়ি দেবে যাওয়ার ঘটনাও আছে। পত্র-পত্রিকা আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে কম লেখালেখিও হয়নি। তবু কারো কানে পানি যায়নি। শেষ পর্যন্তও টনক নড়েনি সড়ক বিভাগের। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও শহরের কেন্দ্রস্থল চৌরাস্তায় ঠিকাদারের লোকেরা চার লেনের সড়ক নির্মাণের কাজ করার সময় সাধারণ মানুষ নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এসময় সেখানে সড়ক বিভাগের কোন প্রকৌশলী অথবা সুপারভাইজার পাওয়া যায়নি। রাজমিস্ত্রি ওবায়দুর রহমানকে এমন নিম্নমানের ইট-বালু দিয়ে কাজ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন-এই ইটকে যে শ্রেণীর ইট বলবেন সেই শ্রেণীর ইট এটা; এটাই প্রথম শ্রেণী, এটাই দ্বিতীয় শ্রেণী আবার এটাই তৃতীয় শ্রেণী। ঠিকাদার যে মাল দেবে তাই দিয়ে কাজ করতে হবে আর ঠিকাদারের কাজ এমনই হয় এটা সবার জানা। উপস্থিত সাধারণ মানুষ মনে করেন, শহরের কেন্দ্রস্থল চৌরাস্তাতেই যখন দিনেরবেলা এমন নিম্নমানের কাজ হতে পারে তবে পুরো রাস্তা কিভাবে তৈরি হয়েছে তা সহজেই অনুমান করা যেতে পারে। চৌরাস্তা থেকে জজকোর্ট পর্যন্ত নির্মাণাধীন সড়কের উত্তর পাশে মাপজোক ঠিক না থাকায় ও ত্রুটিপূর্ণ কাজ হওয়ায় সড়কের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছিল। সড়কের পানি ড্রেনে যাওয়ার জন্য আগে যে ড্রেন ও স্লাব নির্মাণ করা হয়েছিল তা নিচু হয়ে যাওয়ায় সেই ড্রেনের উপরের স্লাবে নিম্নমানের ইটের গাঁথুনি দিয়ে উঁচু করে আবার স্লাব তৈরি করতে হচ্ছে। আর এই কাজ সম্পন্ন হচ্ছে যেনতেনভাবে।
×