ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাক খাতে প্রণোদনা ২৮২৫ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ১৩ জুন ২০১৯

 পোশাক খাতে প্রণোদনা  ২৮২৫ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানিতে প্রণোদনা দিতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে আরও দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়। তিনি বলেন, এখন তৈরি পোশাকের চারটি খাত ৪ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা পাচ্ছে। আমি আগামী অর্থবছর থেকে তৈরি পোশাকের বাকি সব খাতের জন্য এক শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা প্রস্তাব করছি। এজন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে আরও দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। জানা গেছে, রপ্তানিতে বর্তমানে ২৬ শ্রেণিতে বিভিন্ন হারে সহায়তা দেওয়া হয়। এই হার ২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। যেমন প্রচলিত বাজারের বাইরে নতুন বাজারে রপ্তানির ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা। আবার আগর, আতর, আলু, হালাল মাংস, বৈচিত্রকৃত পাটপণ্য রপ্তানিতে দেওয়া হয় ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা। ২৬ শ্রেণির বাইরেও মোটরসাইকেল, টুপি, সিরামিকসহ ৯টি পণ্যে সহায়তা দেওয়া হয় ১০ শতাংশ হারে। জানা যায়, রপ্তানি ভর্তুকি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনটি ৩০ জুন পর্যন্ত প্রযোজ্য। সেই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তার হার ৪ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়া অন্য কোনো দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে এ হার ৪ শতাংশ এবং বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা ৪ শতাংশ। ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা আরও ২ শতাংশ। এ ছাড়া গরু-মহিষের নাড়িভুঁড়ি, শিং ও রগ রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ, শস্য ও শাকসবজির বীজে ২০ শতাংশ, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বনে ২০ শতাংশ, সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যারে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ভর্তুকি পাওয়া পণ্যের মধ্যে আরও রয়েছে হিমায়িত সফট সেল কাঁকড়া, ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল, গ্যালভানাইজড সিট, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, কস্টিক সোডা, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ইত্যাদি।
×