ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীনগরে গৃহবধুর শরীরে আগুন ঢেলে আত্মহনন, স্বামী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ১২ জুন ২০১৯

শ্রীনগরে গৃহবধুর শরীরে আগুন ঢেলে আত্মহনন, স্বামী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোটার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহননকারী গৃহবধু জিয়াসমিনের স্বামী মো. সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ২ টার দিকে তাকে গাজীপুরের ভবানীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্রীনগর উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি গ্রামের গৃহবধু জিয়াসমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মারা যান। এর আগে শুক্রবার দুপুরে তাকে বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। উল্লেখ্য গত শুক্রবার দুপুরে জিয়াসমিন (৪০) স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে নিজের গায়ে করোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় জিয়াসমিনের ভাই আরিফ বাদী হয়ে সিরাজুল ইসলামকে আসামী করে শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিনসহ পুলিশের একটি টিম গাজীপুর ও জয়দেবপুর পুলিশের সহায়তায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করে সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। জিয়াসমিন কোলাপাড়া ইউনিয়নের ব্রাক্ষ¥ন পাইকসা গ্রামের মৃত আ. আজিজ চৌধুরীর মেয়ে। প্রায় ২৩ বছর পূর্বে সেলামতি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে প্রতিবন্ধী এক মেয়ে ও মালয়েশিয়া প্রবাসী এক ছেলে রয়েছে। শ্রীনগর থানার ওসি মোঃ ইউনুচ আলী জানান, জিয়াসমিনের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে জিয়াসমিনের বড় ভাই মোঃ সিরাজুল ইসলাম আরিফ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (খ) ধারায় মামলা করেছেন। ঘটনার দিনই শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তারের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেন জিয়াসমিন। জবানবন্দিতে জিয়াসমিন বলেন স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্বামীর বসতঘরে কোরোসিন ঢেলে তিনি নিজ শরীরে আগুন লাগিয়ে দেন। তার স্বামী যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করত। সোমবার বাদ আসর লৌহজংয়ের ব্রাক্ষণ পাইকশা গ্রামে স্থানীয় কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
×