ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে মামলা নিল পুলিশ ॥ গ্রেফতার এক

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ১৩ জুন ২০১৯

 অবশেষে মামলা নিল পুলিশ ॥ গ্রেফতার এক

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ১২ জুন ॥ শেরপুরের নকলায় ডলি খানম (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে মামলা নিয়েছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে অবৈধ আটক, মারপিটে জখম, গর্ভপাত, শ্লীলতাহানি ও চুরির অভিযোগে নির্যাতিত গৃহবধূকে বাদী করে নকলা থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলায় নির্যাতিত গৃহবধূর ভাশুর আবু সালেহ (৫২), নেছার উদ্দিন (৪৮) ও সলিমুল্লাহ (৪৪), জা লাকি আক্তার (৩৪), জার বড়বোন নাসিমা আক্তার (৩৯), পৌর কাউন্সিলর রূপালী বেগম (৩৫), তার স্বামী আমিরুল ইসলাম (৪৫), প্রতিবেশী তাফাজ্জল হোসেন (৪৪), তার ছেলে ইসমাইল হোসেনসহ (২০) ৯ জনকে এবং আরও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বুধবার সকালে নাসিমা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে নকলা উপজেলার ভুরদি গ্রামের আব্দুল মোতালেবের মেয়ে এবং ভিকটিম ডলি খানমের জা অন্যতম প্রধান আসামি লাকি আক্তারের বড় বোন। অন্যদিকে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বুধবার সকালে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম ও নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি শেরপুরে ‘টক অব দি টাউন’ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। জানা যায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নকলা পৌর শহরের কায়দা গ্রামের দরিদ্র কৃষক শফিউল্লাহর স্ত্রী ও স্থানীয় চন্দ্রকোনা কলেজের ডিগ্রী শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ডলি খানমকে গত ১০ মে সকালে শফিউল্লাহর বড় ভাই সেনা সদস্য নেছার উদ্দিন ও পৌর কাউন্সিলর রূপালী বেগমের ইন্ধনে আবু সালেহ, সলিমউল্লাহ, লাকি আক্তার, লাকি আক্তারের বড়বোন নাসিমা আক্তারসহ হত্যার উদ্দেশ্যে ক্ষেতের আইলের ইউক্যালিপটাস গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে।পরে তারা ডলির যৌনাঙ্গসহ পেটে, বুকে, পিঠে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি-লাথির আঘাতে তাকে নিস্তেজ করে ফেলে।
×