ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজকীয় বিদায় প্রাপ্য ছিল যুবরাজের

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ১২ জুন ২০১৯

রাজকীয় বিদায় প্রাপ্য ছিল যুবরাজের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সোমবারই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন যুবরাজ সিং। তার অবসরকে কেন্দ্র করে বিষণœ ক্রিকেট মহল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারেরা করেছেন স্মৃতি রোমন্থন। কিন্তু ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানিয়ে দিলেন, আরও ভাল অবসর প্রাপ্য ছিল যুবরাজের। রোহিতের টুইট, চলে যাওয়ার আগে বুঝতে পারিনি কি চলে গেল। তোমাকে খুব ভালবাসি। আরও ভাল অবসর প্রাপ্য ছিল তোমার। যুবরাজের ম্যাচ মাঠে বসে দেখতে ভয় পেতেন তার মা শবনম সিং। ভয় পেতেন, যদি দ্রুত আউট হয়ে যায়। ছেলের অনুরোধ সত্ত্বেও বাড়িতে বসে টিভিতে ছেলের ব্যাটিং দেখতেন। আর প্রার্থনা করতেন। সোমবার যখন ছেলের অবসরের ঘোষণা বসে শুনছিলেন, চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত দিনগুলোর কথা ভেসে উঠছিল তার চোখে। ছেলের অবসর ঘোষণার দিন শবনম বলেন, আমার ছেলের জীবন স্বার্থক। যা চেয়েছিল, সব পেয়েছে। বিশ্বকাপ জিতেছে। দর্শকদের ভালবাসা পেয়েছে। একজন ক্রিকেটারের জীবনে আর কী-ই বা পাওয়ার আছে। ওর অবসরের সিদ্ধান্ত একেবারেই ব্যক্তিগত। আমি একেবারেই এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি। ছেলের অবসরের দিন মায়ের চোখে ভেসে উঠল সেই লড়াইয়ের দিনগুলো। শবনমের কথায়, ছোটবেলা থেকেই খুব ডাকাবুকো। ম্যাচ হারলে খাওয়া বন্ধ করে দিত। প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মুখিয়ে থাকত। সেই ছেলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করেও সফল। ওকে হারতে বেশি দেখিনি। কিন্তু মাঠে যেতে তিনি ভয় পেতেন। ছোটবেলায় বেশ কয়েকবার মাঠে গিয়েছিলাম। কিন্তু সে ম্যাচগুলোয় যুবি ভাল খেলতে পারেনি। তাই বড় হওয়ার পর আমি মাঠে যেতে ভয় পেতাম। বলতে পারেন কুসংস্কার। যুবরাজের অবসরকে সমর্থন করেছেন তার স্ত্রী হেজেল কিচও। যুবরাজের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে ক্রিকেট সম্পর্কে কোন জ্ঞান ছিল না তার। কিন্তু ২০১৪ সালে ভারতীয় দলে যুবি ডাক পাওয়ার পর হেজেল বুঝতে পারেন, ক্রিকেটই তার স্বামীর ভালবাসা। এমনকি ভারতীয় দলের কিটব্যাগ দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন তার স্বামী। হেজলের কথায়, ‘যুবির সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই ক্রিকেট বুঝতে শিখেছি। বুঝতে পেরেছি, কি করে একটি খেলা জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে যেতে পারে। ২০১৪ সালে যুবি ভারতীয় দলে ফের ডাক পাওয়ার পরে ওর বাড়িতে ভারতীয় দলের কিট পাঠানো হয়েছিল। সেই কিট দেখে কেঁদে ফেলেছিল যুবি। সেই মুহূর্তে আবেগটা বুঝতে পারিনি। মনে হয়, একজন ক্রিকেটারই বুঝতে পারবে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া কতটা বিশেষ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে। যুবরাজের অবসরের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে হেজেল বললেন, ‘স্ত্রী হলেও কিছু সিদ্ধান্ত একেবারে ব্যক্তিগত। ওর অবসরের সিদ্ধান্তে আমার পুরোপুরি সমর্থন রয়েছে। ও এমন কোন সিদ্ধান্ত নেবে না যা আমি সমর্থন করতে পারব না।’
×