ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চোখ থাকবে আজ স্টার্ক-আমিরের ওপর

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ১২ জুন ২০১৯

চোখ থাকবে আজ স্টার্ক-আমিরের ওপর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টন্টনে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচে আজ নিজ নিজ দলের জন্য তুরুপের তাস হতে পারেন দুই বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক আর মোহাম্মদ আমির। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে মিশন শুরুর ম্যাচে এবং সবশেষ ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার দিনে নেন ১টি করে উইকেট। কিন্তু মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে আত্মবিশ্বাসী অস্ট্রেলিয়ান। ট্রেন্ট ব্রিজে সেদিন ক্যারিবিয়ানদের ইনিংসের শেষ পাঁচ ওভারে কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, জেসন হোল্ডার ও শেলডন কটরেলকে আউট করে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন স্টার্ক। এর মধ্যে ৪৬তম ওভারের শেষ বলে প্রতিপক্ষের অধিনায়ক হোল্ডারকে ফিরিয়ে দ্রুততম ১৫০ ওয়ানডে উইকেটের রেকর্ড গড়েন ২৯ বছর বয়সী এই পেসার। ৭৮ ওয়ানডেতে স্টার্কের উইকেট এখন মোট ১৫২। রেকর্ডটির আগের মালিক ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাকলাইন মুশতাক। ১৫০ উইকেট পেতে ৭৮ ম্যাচ লেগেছিল তার। গত বিশ্বকাপে আগাগোড়া দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করে ‘ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার ট্রফি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন স্টার্ক। যিনি এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যেকোন ব্যাটিং লাইন আপকে বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বেন না। অন্যদিকে আমিরের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে। ২০১০ সালে বহুল আলোচিত সেই স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দায়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। অথচ অনেক নাটকীয়তার পর তাকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে সেই তিনিই এখন পর্যন্ত দলের সফল বোলার। টন্টনে আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ম্যাচে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের তুরুপের তাস হতে পারেন ২৭ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার। পুরনো মাঠে নতুন করে ফিরে আসাটা নিশ্চয়ই স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ আমির। দক্ষিণাঞ্চলীয় কাউন্টি শহর সামারসেটের বিপক্ষে এসেক্সের হয়ে তিন বছর আগে এই মাঠেই ইংল্যান্ডের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ফিরেছিলেন আমির। ২০১০ সালের লর্ডস টেস্টে সঙ্গী মোহাম্মদ আসিফসহ ম্যাচ গড়াপেটার ঘটনায় পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ও জেল খাটার আগে বাঁহাতি পেসার ছিলেন ক্যারিয়ারে ফর্মের তুঙ্গে। অধিনায়ক সালমান বাটের নির্দেশেই আসিফ ও আমির বিতর্কিত ওই ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। ২০১০ মৌসুমে দুর্দান্ত গতি ও সুইং বোলিংয়ের মাধ্যমে হেডিংলির নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে প্রথম দিনে আমির ২০ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস মাত্র ৮৮ রানে গুড়িয়ে গিয়েছিল। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নতুনভাবে ফিরে এসে আবারও আমির ছয় বছর আগের সেই পারফর্মেন্স দেখিয়েছিলেন। এই টন্টনে সামারসেটের বিপক্ষে তিনি প্রথম ম্যাচেই ৩৬ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। এর মধ্যে একটি উইকেট ছিল ইংল্যান্ডের সাবেক ওপেনার মার্কাস ট্রেসকোথিকের। সবকটি উইকেটই পেয়েছিলেন দুর্দান্ত সুইংয়ের মাধ্যমে। সেই মাঠে বিশ্বকাপে বড় ম্যাচে আরও বড় কিছুর সুযোগ তার সামনে। ৫৩ ওয়ানডেতে আমিরের মোট উইকেট ৬৫। সেরা ৪/২৮।
×