ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইনজুরিতে ছিটকে গেলেন ধাওয়ান

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ১২ জুন ২০১৯

ইনজুরিতে ছিটকে গেলেন ধাওয়ান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিট হিসেবে ধরা হচ্ছিল বিরাট কোহালির ভারতকে। পর পর দুই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রবল প্রতিপক্ষকে। সেই জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতের সাজঘরে বড় ধাক্কা। বুড়ো আঙুলের চোট ছিটকে দিলো ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে। অসিদের বিরুদ্ধে ম্যাচে কুল্টার-নাইলের একটা বল হঠাৎই লাফিয়ে উঠে ধাওয়ানের বাঁ হাতের গ্লাভসে লেগেছিল। বলের আঘাতে বুড়ো আঙুল ফুলে যায় বাঁ হাতি ওপেনারের। যন্ত্রণা নিয়েও ম্যাচ জেতানো শতরান করেন তিনি। ব্যাট করলেও ফিল্ডিং করেননি ধাওয়ান। ড্রেসিংরুমে বসে আইস প্যাক ঘষতে দেখা যায় তাকে। গতকাল মঙ্গলবার ধাওয়ানের আঙ্গুলে স্ক্যান হয়। সেখানেই ধরা পড়ে তার বুড়ো আঙুলে চিড় ধরেছে। তিন সপ্তাহ বিশ্রামের পরামর্শ দেয়া হয়েছে ধাওয়ানকে। তিন সপ্তাহ বিশ্রামের অর্থ হলো চলতি বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে গেলেন তিনি। ফলে ভারতের ব্যাটিংয়ের ভারসাম্যটাই নষ্ট হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ট্রেন্টব্রিজে নামছে ভারত। সেই ম্যাচে নতুন জুটিকে ওপেন করতে দেখা যাবে। লোকেশ রাহুলকে কি রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে পাঠানো হবে? এ রকম কথাই শোনা যাচ্ছে। ধাওয়ানের বিকল্পের নাম এখনও অবশ্য ঘোষণা করা হয়নি। দ্রুতই তা জানিয়ে দেয়া হবে। আঙুলে চোট পেলেও ম্যাচের পরে কিন্তু ফুরফুরে মেজাজেই দেখা যায় ধাওয়ানকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ধাওয়ানকে স্বাগত জানিয়ে চহাল বলছেন, এসে গেছে আমাদের নায়ক। কী নামে ডাকবেন তাকে? গাব্বার নাকি আইসিসি ম্যান? এর পরেই চহাল মনে করিয়ে দেন, ‘আইসিসি প্রতিযোগিতায় মনে হয় সাতটা কী আটটা সেঞ্চুরি হয়ে গেল ধাওয়ানের। ভুল কিছু বলেননি চহাল। আইসিসি প্রতিযোগিতা এলেই যেন ধাওয়ানের ব্যাটে রানের ফুল ফুটতে থাকে। এই বিশ্বকাপেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রান না পেলেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এসেছে দুরন্ত সেঞ্চুরি। করেন ১০৯ বলে ১১৭। নিজের ১৭ নম্বর ওয়ান ডে সেঞ্চুরি। এর পরে চহাল প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ইনিংসের প্রথম দিকে আপনি একটু মন্থর ছিলেন। তারপর সেই ‘গাব্বার’-এর মতো খেলতে থাকেন। এটা কেন হয়? ধাওয়ানের জবাব, ‘শুরু থেকেই আমাদের মানসিকতা ইতিবাচক ছিল। তবে প্রথম দিকে আমরা একটু দেখে খেলতে চেয়েছিলাম। পিচের চরিত্রটা বুঝতে চেয়েছিলাম। তা ছাড়া আমরা জানতাম, প্রথম দশ ওভারে যদি ওদের দু’জন প্রধান বোলার প্যাট কামিন্স আর মিচেল স্টার্ককে খেলে দেয়া যায়, তা হলে পরের দিকে রান করতে সমস্যা হবে না। সেটাই হয়েছে। কামিন্স এবং স্টার্ক ওদের আসল বোলার, ওদের প্রাপ্য সম্মানটা তো দিতেই হবে। ধাওয়ান আরও বলেছেন, মাঝের ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারদের খেলতে আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। ভালই রান উঠছিল।
×