ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেগম জিয়ার আবেদন নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশিত: ১১:৫০, ১২ জুন ২০১৯

বেগম জিয়ার আবেদন নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিচারে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তরে জারি করা প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জের রিট হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। অবকাশকালীন ছুটির পর আগামী ১৬ জুন থেকে হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চ বসবে। এদিকে আদালতের আদেশের পর ভারপ্রাপ্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ মুরাদ রেজা বলেছেন, নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা রিটের শুনানি সময়ক্ষেপণের জন্যই রিট দায়ের করা হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সময়ের পর সময় নিয়েছেন তারা (খালেদার আইনজীবীরা)। আরও সময়ক্ষেপণ করার জন্য এখন এই রিট করেছেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে সমন্বয় ও সিদ্ধান্তহীনতা স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন ভারপ্রাপ্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রিটের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। আদালত স্থানান্তরে জারি করা প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জের রিট হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। আদেশের পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে। এর আগে খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য কেরানীগজ্ঞে আদালত স্থাপনের প্রজ্ঞাপন জারি করার পর ২১ মে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি আইনী নোটিস পাঠান। কিন্তু তার জবাব না পাওয়ায় গত ২৬ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই আইনী নোটিসে দাবি করা হয়, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরাতন ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপনটি খালেদা জিয়া ও আমরা বেআইনী বলে মনে করি। কারণ, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যে কোন বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী। একইসঙ্গে কোথায় কোথায় কারাগার স্থানান্তরিত হতে পারে তা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে দেয়া আছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে কোথাও উল্লেখ নেই যে, কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন হতে পারে। সুতরাং সংবিধান ও ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান নিয়েছে বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়। সময়ক্ষেপণের জন্যই রিট দায়ের করা হয়েছে ॥ নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা রিটের শুনানি সময়ক্ষেপণ বলে মন্তব্য করেছেন ভারপ্রাপ্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ মুরাদ রেজা। তিনি বলেন, ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সময়ের পর সময় নিয়েছেন তারা (খালেদার আইনজীবীরা)। আরও সময়ক্ষেপণ করার জন্য এখন এই রিট করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে করা রিটের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে সমন্বয় ও সিদ্ধান্তহীনতা স্পষ্ট। মুরাদ রেজা বলেন, ওই গেজেট হয়েছে ১২ মে। পরে মামলাটি কেরানীগঞ্জের আদালতে ১৯ ও ৩০ মে দুটি আদেশ হয়। মামলাটি অভিযোগ গঠনের জন্য ছিল। খালেদা জিয়া ওখানে যাননি। তিনি না যাওয়ার কারণে আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য ২৩ জুন পুনরায় দিন নির্ধারণ রেখেছেন। গেজেটের পর দু’দিন তার আইনজীবীরা কেরানীগঞ্জের আদালতে গিয়ে শুনানি করেছেন। তারপর এসে গেজেট চ্যালেঞ্জ করেছেন। একইসঙ্গে তারা যে দু’দিন কেরানীগঞ্জের আদালতে গিয়ে শুনানি করেছেন তা রিটের শুনানিতে হাইকোর্টকে বলেনি।
×