ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জ কারাগারে আদালত স্থানান্তরে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে রিট কার্যতালিকায়

প্রকাশিত: ১০:১২, ১০ জুন ২০১৯

 কেরানীগঞ্জ কারাগারে আদালত স্থানান্তরে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে রিট কার্যতালিকায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে করা রিটের শুনানির জন্য আজ হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকার ৭৫ নম্বরে এটি রয়েছে। এর আগে খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপনের প্রজ্ঞাপন জারি করার পর ২১ মে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি আইনী নোটিস পাঠান। কিন্তু তার জবাব না পাওয়ায় গত ২৬ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই আইনী নোটিসে দাবি করা হয়, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরাতন ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপনটি খালেদা জিয়া ও আমরা বেআইনী বলে মনে করি। কারণ, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যে কোন বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী। একইসঙ্গে কোথায় কোথায় কারাগার স্থানান্তরিত হতে পারে তা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে দেয়া আছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে কোথাও উল্লেখ নেই যে, কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন হতে পারে। সুতরাং সংবিধান ও ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান নিয়েছে বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়। এর আগে ২৮ মে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আদালত স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে করা রিটের বিষয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, আইনের বিধান আছে- সরকার আদালত স্থানান্তর করতে পারে যে কোন স্থানে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অভিযোগটি তুলছেন যে, কেরানীগঞ্জের আদালত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে। এ যুক্তি এই মামলায় টিকবে না। তার কারণ হলো- এই মামলায় বিচার করছেন একজন বিশেষ জজ। আর একজন বিশেষ জজের এখতিয়ার ঢাকা বিভাগজুড়ে। তাছাড়া আইনের বিধান আছে, সরকার যে কোন জায়গায় আদালত স্থানান্তর করতে পারে।
×