ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সীতাকুন্ডে মৎস্যজীবীদের সড়ক অবরোধ ॥ যাত্রী ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ১০ জুন ২০১৯

 সীতাকুন্ডে মৎস্যজীবীদের সড়ক অবরোধ ॥  যাত্রী ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম, ৯ জুন ॥ সীতাকুন্ডে সাগরে মাছ শিকারে সরকারী নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে চট্টগ্রাম নগরীর ৯টি ও উপজেলার ২৯টি জেলেপাড়ার জেলেরা। রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছলিমপুর বাংলাবাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের লোকজন। পরে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ দিদারুল আলম জানতে পেরে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং জেলেদের বিষয়াদি নিয়ে সরকারের উপরের মহলের সঙ্গে বসে নিষ্পত্তি করার আশ্বাস প্রদান করলে দুপুর ১২টা দিকে জেলেরা মহাসড়ক অবরোধ তুলে নেন। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আলহাজ দিদারুল আলম বলেন, মহাসড়ক অবরোধের বিষয়টি পূর্ব ঘোষণা হলেও আমকে কেউ জানায়নি। আমি জানলে আজকে মহাসড়ক অবরোধ হতো না, বিষয়টি আমি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করতাম। যাই হোক এখন আমি বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে কথা বলেছি, দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা করব। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা, কর্নেলহাট এলাকার ৯টি জেলাপাড়া ও সীতাকু- উপজেলার জেলেপাড়ার দুই হাজার নারী-পুরুষ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে প্রায় ২ ঘণ্টা । এতে ঈদ শেষে কর্মস্থলে যাওয়া হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ আটকা পড়ে কর্মস্থলে যাওয়ায় বিলম্ব ঘটে। জানা যায়, মাছ ধরার সরকারী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী চট্টগ্রাম নগরী থেকে উপজেলা পর্যন্ত ৩৮টি জেলেপল্লীর লোকজন সকালে রাস্তার একপাশে জড়ো হন। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে সাড়ে ১০টার দিকে তারা রাস্তার দু’পাশেই অবস্থান নেন। আন্দোলনকারী উপজেলার ভাটিয়ারি মীর্জানগর মৎস্যজীবী পরিষদের সভাপতি বাদল জল দাস বলেন, গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন সমুদ্রে সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু জেলে পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রামের প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের জন্য বিকল্প কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। আমরা মাছ ধরে দৈনিক যা আয় করি, তা দিয়েই সংসার চালাই। প্রায় আড়াই মাস যদি মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে পরিবার কীভাবে চলে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কোন সাড়া না পেয়ে রাস্তায় অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, জেলেরা তাদের নিজস্ব কিছু দাবি নিয়ে ঘণ্টাখানেক মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। সংসদ সদস্য ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে এবং দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব বলে আশ্বস্ত করলে জেলেরা অবরোধ তুলে নেয়।
×