ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের পঞ্চম দিনেও ভিজিএফ চাল উত্তোলন হয়নি

প্রকাশিত: ০৮:২১, ১০ জুন ২০১৯

 ঈদের পঞ্চম দিনেও ভিজিএফ চাল উত্তোলন হয়নি

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ৯ জুন ॥ নিয়ম অনুযায়ী ভিজিএফের চাল খাদ্যগুদাম থেকে ঈদের আগে উত্তোলন করে দুস্থদের মাঝে বিতরণ করার কথা। কিন্তু এর ব্যতিক্রম ঘটেছে নান্দাইল উপজেলায়। এ জন্য সরকারে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল থেকে বঞ্চিত হয়েছে উপজেলার শেরপুর ও সিংরইল ইউনিয়নের দুস্থরা। জানা গেছে, ঈদ-উল-ফিতরে নান্দাইলে ১৩টি ইউনিয়নের দুস্থদের জন্য সরকার এক হাজার ৮৬ টন চাল বরাদ্দ করেছে। এজন্য উপজেলায় ৭২ হাজার ৪শ’ ১১ দুস্থের তালিকা করে কার্ড করা হয়েছে। কিন্তু উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ঈদের পঞ্চম দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করা হয়নি। শেরপুর ইউনিয়নে চাল উত্তোলনের পর সময়ের অভাবে ইউপি চেয়ারম্যান বিতরণ করতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরপুর ইউনিয়নে ৫৩৮০টি কার্ডের বিপরীতে ৮০ মেঃটন চাল বরাদ্দ ছিল। অপরদিকে সিংরইল ইউনিয়নে ৫২৭৯টি কার্ডের বিপরীতে ৭৯ টন বরাদ্দ ছিল। কিন্তু ইউনিয়ন দুটিতে বরাদ্দের সবটুকু চাল উত্তোলন করা হয়নি। আর শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে উত্তোলিত চাল বিতরণ না করে মজুদ করে রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব উদ্দিন জানান, তিনি উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে ৬শ’ বস্তা চাল উত্তোলন করে পরিষদে রেখেছেন। কিছু চাল খাদ্যগুদামে উত্তোলনের বাকি রয়েছে। সময় এবং লোকবলের অভাবে চাল বিতরণ করতে পারেননি। পরিষদের জমা চাল ও খাদগুদামের চাল উত্তোলন করে দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হবে। সিংরইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছু চাল উত্তোলনের বাকি রয়েছে। এই সপ্তাহের মধ্যেই উত্তোলন করে বিতরণের ব্যবস্থা করবেন। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক খাদ্যগুদামের এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ৫/৬ ইউনিয়নের অর্ধেক চাল গুদামে ছিল। কেউ উত্তোলন করেননি। নান্দাইল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আলাল হোসেনকে তার মুঠো ফোনে বারবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাদ্দেক মেহদি ইমাম বলেন, দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল ঈদের পূর্বেই উত্তোলন করে বিতরণ করার কথা। কি কারণে গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করে দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়নি তা তদন্ত করে দেখা হবে।
×