ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিন বছর পরিত্যক্ত টাঙ্গাইলের বিনোদন কেন্দ্র ভাসানী হল

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ১০ জুন ২০১৯

তিন বছর পরিত্যক্ত টাঙ্গাইলের বিনোদন কেন্দ্র ভাসানী হল

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৯ জুন ॥ টাঙ্গাইলের বিনোদন ও সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু ভাসানী হল দীর্ঘ তিন বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে সংস্কৃতি চর্চা ও বিনোদন। অথচ এটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। এটি দ্রুত সংস্কার করে ব্যবহারের উপযোগী বা পুনরায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন জেলার সংস্কৃতিকর্মীরা। টাঙ্গাইলের সংস্কৃতিকর্মীরা বলেন, বিগত ১৯৭৬ সালে আবুল ফজল নামে এক ব্যক্তি আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নামে এই হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিগত ১৯৭৮ সালে তৎকালীন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার খানে আলম খান আনুষ্ঠানিকভাবে এই হলের উদ্বোধন করেন। এক হাজার আসন বিশিষ্ট এই মিলনায়তনটিতেই জেলার সব সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান পরিচালিত হতো। শুধু তা-ই নয়, এই মিলনায়তনটি ঘিরেই নাট্যচর্চাসহ সংস্কৃতিকর্মীদের আড্ডা বসত নিয়মিত। এর চত্বরেই হতো বইমেলা। এখানে ঈদের সময় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনসার্ট হতো। এই ভাসানী হলেই জেলার বড় বড় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংস্কারের অভাবে বর্তমানে হলটি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ায় প্রায় তিন বছর আগে এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় এই ঐতিহাসিক বিনোদনের একমাত্র মিলনায়তনটি। এক সময় যে জায়গাটি থাকত সংস্কৃতিকর্মীদের পদচারণায় মুখর, তা এখন পরিণত হয়েছে ‘ভুতুড়ে বাড়িতে’। ভাসানী হলে গিয়ে দেখা যায়, এর বারান্দায় শুয়ে আছে ছিন্নমূল মানুষ। কক্ষগুলো সব তালাবদ্ধ। সামনের চত্বরে আগাছা গজিয়েছে। নাট্যকর্মীরা জানান, এই ভাসানী হল চালু না থাকায় নাট্য ও সংস্কৃতিচর্চা ব্যাহত হচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব এটি সংস্কার বা পুনর্নিমাণ প্রয়োজন। প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী এলেন মল্লিক বলেন, টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মূল কেন্দ্র এই ভাসানী হল। এটি পরিত্যক্ত থাকায় সংস্কৃতিচর্চাও ঝিমিয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোশারফ হোসেন খান বলেন, ভাসানী হলটি পুনর্নির্মাণের বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব পাস হয়ে এলেই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
×