স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিএনপির দু’পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার শাহবাজপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঢাকা-সিলেট, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় একঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কের দু’পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে পুনরায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচিত বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা তার সমর্থক শাহবাজপুর সেকেন্ড গেট জমাদ্দারপাড়া বিএনপির সমর্থক জুনায়েদকে (২৮) টিআর-এর চাল বরাদ্দ দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থক ফাস্ট গেট পাথুরিয়া গ্রামের যুবদলের প্রভাবশালী নেতা জুয়েল (৩০)। অভিযোগ ওঠে, জুয়েল টিআর-এর চাল বরাদ্দ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞাকে গালিগালাজ করে। এ ঘটনায় সাত্তার সমর্থক জুনায়েদ প্রতিবাদ জানায়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এরই জের ধরে শনিবার বিকেলে জুয়েল সমর্থকরা জুনায়েদের সমর্থক ব্যবসায়ী বাবুল মিয়াকে মারধর করলে দু’পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া, পাল্টাধাওয়ায় মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে জুনায়েদসহ উভয়পক্ষে কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় মহাসড়কের পাশে বেশ কয়েকটি দোকানে ভাংচুর চালায় দাঙ্গাবাজরা। খবর পেয়ে ভৈরব ক্যাম্প থেকে র্যাব সদস্যরা ও সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মহাসড়ক থেকে দাঙ্গাবাজদের সরিয়ে দেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন ভূঞা জানান, বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহাসড়ক কিছু সময় বন্ধ ছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
