ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দিনের আলোর মতোই ঝলমলে রাতের পতেঙ্গা সৈকত

প্রকাশিত: ১০:১১, ৮ জুন ২০১৯

  দিনের আলোর মতোই  ঝলমলে রাতের পতেঙ্গা সৈকত

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা চট্টগ্রাম। নগরীর বিভিন্ন এলাকা সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি হওয়ায় সমুদ্র কেন্দ্রিক পর্যটন স্পটও কম নয়। পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত নতুন সাজে সেজেছে। বঙ্গবন্ধু টানেল বা কর্ণফুলী টানেলের কারণে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দিনের আলোর মতোই রাতেও। সৈকতে লাগানো হয়েছে উচ্চ আলোর হেলোজেন লাইট। সমুদ্র পাড়ের বালিয়াড়ী থেকে অনতীদূরে তৈরি করা হয়েছে রেলিং। সেখানে দাঁড়িয়ে পর্যটকরা অবলোকন করতে পারে সীমাহীন সমুদ্রের জলরাশি। জোয়ারে ঢেউ আঁছড়ে পড়ছে পাথরে গড়া ব্লক পর্যন্ত। এদিকে, সীতাকু- উপজেলা থেকে পতেঙ্গা হয়ে বাঁশখালী উপজেলা পর্যন্ত কয়েকটি উপজেলাও সমুদ্র উপকূল ঘেঁষা। ফলে এসব এলাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় অনেক বেশি। বৃহস্পতিবার রাতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, দিনের আলোর মতোই ঝলমল করছে পতেঙ্গা সৈকতের অবকাঠামো। কিন্তু জলরাশি ঘুটঘুটে অন্ধকারে। এরই মাঝেও পর্যটকদের ভিড় কমছে না। জোয়ার না থাকায় পর্যটকরা পানিতে পা ভেজাচ্ছেন মনের আনন্দে। আবার কেউবা রেলিং ধরে রাতের মিটমিট আলোয় বহির্নোঙ্গরে দাঁড়িয়ে থাকা মাদার ভ্যাসেল দেখছেন। কেউ আবার স্পিডবোট ভাড়া নিয়ে পানির বিশালতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে সবারই এককথা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলে পর্যটকদের আনন্দ মাটি হবে না এই স্পটে। অপরদিকে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রিং রোড প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম সিটি আউটার, রিং রোডের ফৌজদারহাট উপকূলবর্তী বিশালতায় গড়ে উঠবে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন স্পট। যা পতেঙ্গা থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার বিস্তৃত হচ্ছে। তবে এর মধ্যে পাঁচ কি.মি. এলাকায় পাঁচ তারকা হোটেলসহ ব্যবসার অপার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। পাঁচ কিলোমিটারব্যাপী বিশ্বমানের এই পর্যটন কেন্দ্র চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) পরিচালনায় থাকবে। এ স্পটই তৈরি হতে যাচ্ছে থাইল্যান্ডের পাতায়া সিটির মতো বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র। কারণ অনেকটা পাতায়া বিচের আদলে সমুদ্রের ধারে রেলিং দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। পাশেই রয়েছে সুবিশাল ওয়াকওয়ে। বসার স্থান ছাড়াও আরামদায়ক চেয়ারে বসে দূর থেকে জোয়ারের ঢেউ দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। নগরীর সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন এই সড়ক একদিকে যেমন বেড়ি বাঁধ হিসেবে কাজ করবে, অন্যদিকে প্রায় ৮৪ ফুট প্রশস্থ এই সড়কের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উঠার সুযোগ থাকছে। ২০১৯ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার কথা জানালেন চউকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম। উল্লেখ্য, পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলিামিটার চিটাগাং আউটার রিং রোড প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে ২০১১ সালে। তবে ২০১১ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে ২০১৭ সালে শেষ করার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
×