ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গেইলের আউট ঘিরে তুমুল বিতর্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ৮ জুন ২০১৯

 গেইলের আউট ঘিরে তুমুল বিতর্ক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপের দশম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৭৯ রানেই পাঁচ উইকেট হারানো অসিরা শেষ পর্যন্ত ২৮৮ রানে অলআউট হয়। আট নম্বরে নেমে পেসার কুল্টার নাইল ৬০ বলে খেলেন ৯২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। জবাবে ৯ উইকেটে ২৭৩ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারে ১৫ রানে। তবে ম্যাচে আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানির একের পর এক ভুল নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। যার মধ্যে ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস গেইলের বিপক্ষে দেয়া তার সিদ্ধান্ত ছিল চরম বিতর্কিত। ম্যাচটা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্যাফানি এবং শ্রীলঙ্কার রুচিরা পেলেগুরুগে। অস্ট্রেলিয়া পেসার মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ দুই বলে দুইবার গেইলকে আউট দেন আম্পায়ার গ্যাফানি। দুইবারই রিভিউ নেন গেইল। তাতে দুইবারই সফল হন তিনি। এক ওভার পর আবারও স্টার্কের বলে আম্পায়ার গ্যাফানি গেইলকে আউট ঘোষণা করেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আস্থা রাখতে না পারায় আবারও রিভিউ নিয়েছিলেন গেইল। অবশ্য এ যাত্রায় বাঁচতে পারেননি। নাটকের সেখানেই শেষ নয়, গেইলের আউট হওয়া ডেলিভারিটি ছিল ‘ফ্রি হিট’! গেইলকে তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে কট বিহাইন্ডের আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার গ্যাফানি। কিউই এই আম্পায়ার ভেবেছিলেন গেইলের ব্যাটে বল ছুঁয়ে উইকেটের পেছনে যায়। কিন্তু সে সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রিভিউ নিতে এক মুহূর্ত দেরি করেননি গেইল। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাট-বলের কোন সংযোগই হয়নি। যদিও একটি শব্দ হয়েছিল। ভাল করে দেখে টিভি আম্পায়ার জানিয়ে দেন শব্দটি ছিল বল আর স্টাম্পের। বল স্টাম্পে লাগলেও বেল পড়েনি। স্টার্ক পরের বলটি ওয়াইড দেন। ষষ্ঠ বলটি ইয়র্কার দিতে চেয়েছিলেন স্টার্ক। কিন্তু সেটি ফুলটস হয়ে গেইলের প্যাডে লাগে। এবারও আঙ্গুল উঁচিয়ে গেইলকে আউট ঘোষণা করেন গ্যাফানি। রিভিউ নেন গেইল। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল বল। আবারও বেঁচে যান গেইল। পরের ওভারে প্যাট কামিন্সকে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে গেইল বুঝিয়ে দেন কতটা ক্ষোভ জমেছিল তার মনে। সেই ওভারেই বিশ্বকাপের মঞ্চে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন গেইল। পরের ওভারে (ইনিংসের পঞ্চম ওভার) আবারও বোলিংয়ে আসেন স্টার্ক। স্টার্কের সেই ওভারের পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে আউট হন গেইল। তার আগে নিয়েছিলেন তৃতীয় রিভিউ। রিভিউ নিলেও গ্যাফানির ‘আম্পায়ার্স কল’ তাকে বাঁচতে দেয়নি। মাঠ ছাড়েন গেইল। তবে পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় গেইল যে বলে আউট হয়েছেন সে বলটির আগের বলটি ছিল বিশাল এক ‘নো’ বল! গ্যাফানির চোখ এড়িয়ে গেছে সেটি। যেখানে ফ্রি হিট পাওয়ার কথা, সেখানে গেইলকে ফিরতে হয় সাজঘরে! গ্যাফানির ভুলের মাসুল দেন ‘ইউনিভার্স বস’। পপিং ক্রিজের দাগ থেকে পা অন্তত চার ইঞ্চি বাইরে ছিল স্টার্কের। কিন্তু সেটা চোখেই পড়েনি আম্পায়ারের। চোখে পড়লে পরের বলটা ‘ফ্রি হিট’ হতো নিশ্চিত। আর সেই কারণে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়লেও আউট হতে হতো না গেইলকে। ভাগ্য সঙ্গে না থাকায় খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গেইল। শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে ২১ রান করেছেন গেইল। তাতে ছিল ৪টি চারের মার। গেইল উইকেটে থাকলে হয়তো ম্যাচের ফলটাও পাল্টে যেতে পারত।
×