ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলার জনগণ জেগে উঠেছে!

প্রকাশিত: ০৯:০০, ৮ জুন ২০১৯

 বাংলার জনগণ জেগে উঠেছে!

শাহাব উদ্দিন মাহমুদ ॥ ১৯৭১ সালের ৮ জুন দিনটি ছিল মঙ্গলবার। দশ লাখ শহীদের তাজা রক্তে ভেসে গেছে ‘পাকিস্তান’। বাংলার দামাল ছেলেরা টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত পঁয়ষট্টি হাজার গ্রামজুড়ে গড়ে তুলেছে এক একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা আর তিস্তার কূলে কূলে গড়ে ওঠা জনপদে আজ শুধু একটি শপথই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে- ‘এবার আর শহীদ নয় গাজী হব।’ এ দিন আফসার বাহিনী ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় গ্রেনেড হামলা করে ১৭ হানাদারকে খতম করে। ওপার বাংলা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে আসার বেশ কিছুদিন আগেই পাকবাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিনিয়ে এনে আফসার উদ্দিন তার পরিচালিত মুক্তিদলকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলেন। তিনি শপথ করেছিলেন- দেশকে শত্রুমুক্ত না করা পর্যন্ত অস্ত্র ত্যাগ করবেন না। দলিলে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘বর্বরবাহিনী শত চেষ্টা করেও আফসার ব্যাটালিয়নের মুক্ত এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং-এর মস্কো সফরকালে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের জনগণের মুক্তিসংগ্রামে নৈতিক সমর্থন ও সহযোগিতার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঢাকায় এক নম্বর বিশেষ সামরিক আদালত আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, তোফায়েল আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান ও পিপলস পত্রিকার সম্পাদক আবিদুর রহমানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ এনে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার করে। বিচারে ৫ জনের প্রত্যেককে ১৪ বছর সশ্রম কারাদ- প্রদান এবং তাদের সম্পত্তির শতকরা ৫০ ভাগ বাজেয়াফত ঘোষণা করা হয়। বগুড়ার জাতীয় পরিষদ সদস্য হাবিবুর রহমান এক বিবৃতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটিয়ে বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (মুক্তিবাহিনী) সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। তিনি একজন খাঁটি পাকিস্তানী হিসেবে দেশের সেবা করে যাবেন। সময়মতো পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করায় তিনি জেনারেল ইয়াহিয়া খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানান। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আলোক ডগলাস হিউম লন্ডনে বলেন, নতুন অর্থনৈতিক সাহায্য প্রকল্পে সম্মত হবার আগে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য ব্রিটেন পাকিস্তানের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তবে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ওপর রাজনৈতিক সমাধান চাপিয়ে দিতে পারি না। রয়েল কমওয়েলথ সোসাইটির লন্ডন হেড কোয়ার্টারে প্রদত্ত ভাষণে বাংলাদেশের প্রতিনিধি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, সংবাদপত্র খুললেই আপনারা দেখতে পাবেন পূর্ব বাংলার নাগরিকরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। ভারতে গিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে কিন্তু এসবের কারণ কী? কোথায় এ হত্যাযজ্ঞের সূচনা? এই মানবিক লাঞ্ছনার জন্য দায়ী কে? তিনি বলেন, আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, পূর্ব বাংলার জনগণ তাদের প্রত্যাশা আর আকাক্সক্ষার অপূর্ণতা এবং রাজনৈতিক শাসন ও অর্থনেতিক শোষণে দীর্ঘদিন ধরে জর্জরিত ছিল। ১৯৭০-এর ডিসেম্বরে জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শোষণের কথা মনে রেখেই। তারা শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য ভোট দেয়। কারণ, তারা বৈদেশিক বাণিজ্য ও অন্যান্য বিষয়ে ৬ দফার ভিত্তিতে প্রদেশের হাতে ক্ষমতা দিয়েছিল, যাতে অভিন্ন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতিকে স্বীকার করে দুটি অঞ্চলই হাতে হাত ধরে এক পাকিস্তানের শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের প্রতিনিধি বলেন, ১৬৯টির মধ্যে ১৬৭টি আসনে আওয়ামী লীগের জয়লাভ করার ব্যাপারটা ইয়াহিয়ার মন্ত্রণাদাতারা ভাল চোখে দেখেনি। সামরিক একনায়করা বুঝতে পেরেছিল জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার সময় এসে গেছে। এই উপলব্ধিতেই তারা মাত্র ৩০টি আসন পাওয়া জুলফিকার আলী ভুট্টোকে নিজেদের দলে টেনে নিল। ভুট্টো ঘোষণা করলেন ৩ মার্চের জাতীয় পরিষদ অধিবেশন তিনি বয়কট করবেন। চাপের মুখে ইয়াহিয়া পরিষদ অধিবেশন বাতিল করলেন। শেখ মুজিবুর রহমান নিয়মতান্ত্রিকভাবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে হরতালের কর্মসূচী দিলেন। পূর্ব বাংলার সমগ্র জনগোষ্ঠী তার আন্দোলনের সঙ্গে যোগ দিল। কেননা, পূর্ব বাংলার জনগণ শেখ মুজিবুর রহমানকে তাদের আইনসম্মত শাসক হিসেবে গ্রহণ করেছিল। বিচারপতি চৌধুরী বলেন, এই পরিস্থিতিতে ইয়াহিয়া শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। শেখ মুজিব তা গ্রহণ করেন। আর শেখ সাহেব যখন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন, তখন জাহাজ ভর্তি অস্ত্র ও পাকসেনা পাঠানো হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে। তারপর ঘটল ইতিহাসের বর্বরতম ঘটনা। যার শুরু বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চের রাতে। আমার ছাত্র ও অধ্যাপকরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও এ্যাপার্টমেন্টে ঘুমিয়ে আছে, পুরো ঢাকা শহর নিদ্রামগ্ন-সেনাবহিনী নেমে এলো পথে, নির্বিচারে হত্যা করল ছাত্র ও অধ্যাপকদের। তিনি বলেন, পূর্ব বাংলার জনগণ জেগে উঠেছে। আওয়াজ তুলেছে স্বাধীনতার। নতুন এক দেশের অভ্যুদয় হয়েছে- তা আজকের বাংলাদেশ। কোন দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিক বা না কৌশলগত কারণে না দিক, বাস্তবতা হলো ইয়াহিয়ার বাহিনী ঢাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। এই বাহিনীকে প্রত্যাখ্যান করেছে সমগ্র জাতি। কারও পক্ষেই বাংলাদেশকে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বাধীন রাখা সম্ভব নয়। সাড়ে সাত কোটি মানুষকে এভাবে বন্দী রাখা যাবে না। আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘পশ্চিম পাকিস্তানের সরকার ও পাকসেনা পূর্ব বাংলা নিয়ন্ত্রণ করছে’ তা মোটেই সত্যি নয়। সংখ্যালঘুর নিয়ন্ত্রণে জনগণকে আতঙ্কিত করে কখনও কোন দেশ চালানো যায় না। পূর্ব বাংলার জনগণ জানে পাকিস্তানের এই শাসন, পাক সেনা এই আস্ফালন আর বেশিদিন টিকবে না। আমরা এখন ভালভাবেই জানি, উপনিবেশ থেকে আমরা আমাদের স্বাধীনতার মর্যাদাকে আয়ত্ত করতে যাচ্ছি। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, জীবনযাপন, সংস্কৃতি ও ভাষায় আমরা স্বতন্ত্র। আমাদের জনগোষ্ঠী আলাদা। জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার আমাদের আছে। হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড ২০তম আন্তর্জাতিক প্রেস ইনস্টিটিউটের সাধারণ পরিষদ- যা আজ সকালে সিঙ্গাপুরের হেলসিংকিতে শুরু হয়েছে, সেখানে পূর্ববাংলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কও এখানে আসবে। তারা স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা গতকাল সানডে টাইমসে সম্প্রচারিত ছবিগুলো নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের পর প্রতিনিধি দল এবং অন্যদের দ্বারা অনানুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় ও পাকিস্তানী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে। অশোক কুমার সরকার ও অন্য ভারতীয় প্রতিনিধিদের বার বার ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় জিজ্ঞেস করা হয়েছে। আইপিআই চক্র সাধারণত দুটি পয়েন্ট বিশ্বাসী বলে মনে হয়; ১. পূর্ব বাংলায় সন্ত্রাসের কারণে শরণার্থীরা ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং ২. তারা পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে যাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তা পাকিস্তানী সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কিছু পাকিস্তানী প্রতিনিধি ভারতের প্রেসকে দায়ী করার চেষ্টা করে বলার চেষ্টা করছে যে তারা পূর্ব বাংলার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এই ধরনের প্রচেষ্টা শুধু ভারতীয় প্রেস প্রতিনিধিদের দ্বারাই নয়, বরং অন্যদেশের প্রেসও প্রতিবাদ করেছে- যেমন সানডে টাইমসের সাংবাদিকদের কোন সন্দেহ নেই যে সামরিক শাসক যা করছে তার জন্য শুধু ইয়াহিয়া খান দায়ী। মস্কোতে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরণ শিংয়ের সফর এবং বন, প্যারিস, ওয়াশিংটন ও লন্ডন সফরের খবর এবং হেলসিংকি ও অন্যান্য স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাজধানীতে টেলিভিশন অনুষ্ঠানের কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। দৈনিক কালান্তর ’বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমাধান’ শিরোনামে সম্পাদকীয় নিবন্ধ প্রকাশ করে, বাংলাদেশ সমস্যার একটা রাজনৈতিক সমাধান হোক এ ইচ্ছা পৃথিবীর কোন কোন রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র নায়করা প্রকাশ করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও বিভিন্ন বক্তৃতায় এর একটা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশা ব্যক্ত করেছেন। সীমান্ত গান্ধী খান আবদুল গাফফার খান মীমাংসায় পৌঁছানোর জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা ও বাংলাদেশের নেতাদের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও করেছিলেন। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী মেনে না নেয়ার ঐ প্রস্তাবের অপমৃত্যু ঘটেছে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানের নজিরবিহীন ঘটনার কোন রাজনীতিক সমাধান সম্ভব কিনা এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আজও গবেষণার শেষ নেই। রবিবার স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম এক বেতার ভাষণে এই সমাধানের ভিত্তি সম্পর্কে ঐ সরকারের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। এ পর্যন্ত যারা রাজনীতিক সমাধানের কথা ভেবেছেন তারা প্রত্যেকেই পাকিস্তানের ঐক্য অক্ষুণ্ণ রেখে সমাধানের কথা হয়ত চিন্তা করছিলেন। বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান তাদের এই চিন্তাকে অবান্তর এবং ভ্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন। ‘লাখো শহীদের রক্তে ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান মরে গেছে, তাকে আর বাঁচানো যাবে না।’ সৈয়দ নজরুল ইসলামের এই মর্মান্তিক উক্তির মধ্য থেকে ভাবপ্রবণতার প্রাবল্য থাকতে পারে কিন্তু এটা আজ বাংলাদেশের কাছে বাস্তব ঘটনা। একই রাষ্ট্রের মধ্য থেকে যে পূর্ব বাংলা ভৌগোলিক দিক থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল সামরিক রাষ্ট্র নায়করা বাঙালীর রক্তে পূর্বপাকিস্তানের মাটি রঞ্জিত করে সবদিক থেকে সম্পূর্ণ পৃথক করে দিয়েছে। গোঁজামিল দিয়ে ঐক্যবদ্ধ রাখার কোন প্রয়াসই আর সফল হতে পারে না। অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এবং সুস্পষ্ট ভাষায় সেই ঘোষণা করেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশকে ভিত্তি করে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সমস্যার সমাধানের যে চারটি পূর্ব শর্ত দিয়েছেন তার কোন একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের সমস্যার সমাধান করা যায় না। মুজিবুর রহমান সমেত অন্যান্য গণপ্রতিনিধিদের মুক্তি, হানাদার বাহিনীর বাংলাদেশ ত্যাগ, স্বাধীন, গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের স্বীকৃতি এবং বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ ছাড়া বাংলাদেশে কোন শান্তি প্রতিষ্ঠার চিন্তা প্রকৃতই অবাস্তব। মালয়েশিয়ার স্ট্রেইটস টাইমস ‘পূর্ব বাংলায় শরণার্থী’ শিরোনামে প্রকাশিত সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়, পূর্ব পাকিস্তান সঙ্কটকে এখন আর অভ্যন্তরীণ বিষয় বলা যাবে না। চার মিলিয়ন শরণার্থী ভারতে চলে গেছে। অনেক শরণার্থী শিবিরে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ৮০০০-এর কাছাকাছি। কলকাতায় মহামারীতে রোগের বিস্তার প্রতিরোধে ভারতীয় সরকার পূর্ব পাকিস্তান সীমান্ত বন্ধ করার কথা ভাবছেন। কিন্তু এতে করে শরণার্থী প্রবেশ থামবে না বা কলেরা ছড়ানো থামবে না। নতুন দিল্লী এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্পষ্টভাবে অক্ষম। তারা এটি গোপন করেনি। মিসেস ইন্দিরা গান্ধী তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ছয় দেশে সফরে পাঠান যাদের কাছে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় অসহনীয় সঙ্কট, যা উপমহাদেশের শান্তি বিনষ্ট হবার ব্যাপারগুলো বলবেন। ... চট্টগ্রাম বন্দর এখন কাজ করছে না। এবং ইসলামাবাদের একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় রাজি হওয়া উচিত। অন্যথায় শরণার্থীরা ভারতে যেতেই থাকবে এবং যারা গিয়েছে তারা হয়ত থেকে যাবে। পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যা কেবল তাদের একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়। এমনকি বাইরের সহায়তা ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে না।
×