নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ৩ জুন ॥ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না। একটি পরিবারের পাঁচজনই দৃষ্টিহীন। তারা সম্পর্কে একে অপরের ফুফু, ভাই-বোন এবং ভাতিজি। উচ্ছল তারুণ্যদীপ্ত আলোঝলমল চোখে অন্ধকার নেমে আসায় পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। হঠাৎ অন্ধ হয়ে যাওয়ায় একজনের স্বামী ছেড়ে গেছে। অন্যজনের স্ত্রী চলে গেছে। একজনের বিয়ের বয়স পার হতে চললেও মিলছে না বর। চোখের আলো নিভে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের জীবনের সব চাওয়া-পাওয়াও হারিয়ে গেছে। দুঃসহ মানবেতর জীবনসংগ্রাম তাদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। অনিশ্চিত পথে চলছে তাদের জীবন।
পরিবারে বড় ছেলে আহাদ আলী জানালেন, আমরা চার ভাইবোনের মধ্যে ছোট ভাই শরিফুল ইসলামের চোখই ভাল আছে। সে ঢাকায় একটি বেসরকারী কোম্পানিতে চাকরি করে। ঘরে বিবাহযোগ্য বোন। একমাত্র ভাল থাকা ভাইয়ের আয় এবং অন্যের বাড়িতে কাজ কর্ম করে পাওয়া আমার আয় দিয়েই সংসার চালাতে হচ্ছে। ভাল চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই। তিন বেলা খাব সেই সামর্থ্যই নেই। বোনটাকে বিয়ে দেই কিভাবে। গত কয়েক বছর ধরেই ঈদের কোন আনন্দ নেই আমাদের ঘরে। অর্থাভাবে কোন সদস্যের জন্য কিনতে পারিনি নতুন কাপড়। আমরা ৫ জন দৃষ্টিহীন হলেও মাত্র একজন প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছি। বিত্তবান মানুষ এবং সরকারের কাছে দৃষ্টিহীন ভাই-বোন ও মেয়ের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সাহায্য পাঠাতে চাইলে বিকাশ-০১৭৩৪৭১৩৮৮২। সোনালী ব্যাংক, বাজার শাখার, রংপুর এর হিসাব নং-০১০০৩৪৩৬।
শহর সমাজসেবা অফিসার শফিকুল ইসলাম পাইকার বলেন, একজনকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হয়েছে। ঈদের পরে বাকিদের ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।