ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র ॥ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট ফাঁকা

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ৪ জুন ২০১৯

 সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র ॥ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি  নৌরুট ফাঁকা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে একটি গাড়িও ফেরির জন্য অপেক্ষা করছে না। বরং গাড়ির জন্য ফেরিগুলো ঘাটে অপেক্ষা করছে। এমনটাই জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আব্দুল আলীম। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার যাত্রীরা চলাচল করে। সোমবার এ রুটে ১৮ ফেরি, ৮৭ লঞ্চ ও পাঁচ শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে। বিগত বছরগুলোতে এ ঘাটে যাত্রীদের নানারকম ভোগান্তি পোহাতে হতো। কিন্তু, নৌরুটে চ্যানেলে ঠিকমতো চলতে পারায়, রো রো ফেরিসহ ১৮ ফেরি চলাচল করায় ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীরা তেমন কোন ভোগান্তিতে পড়ছে না। তাছাড়া, প্রশাসনও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যা যানবাহনকে দ্রুত ফেরি পারাপারে সহযোগী ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, সকাল থেকে মোটরসাইকেলসহ কমপক্ষে ৩ হাজার যান পারাপার করা হয়েছে। ফেরির জন্য ঘাটে একটি গাড়িও অপেক্ষা করছে না বরং গাড়ির জন্য এ মুহূর্তে পাঁচটি ফেরি ঘাটে অপেক্ষা করছে। যাত্রীরা আনন্দের সঙ্গে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছে। ঈদের আর মাত্র এক দিন বাকি। কিন্তু সোমবার বিকেলেও ফাঁকা শিমুলিয়া ঘাট। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাটে ঈদের আরও আগে থেকেই থাকে উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু এবার চিত্র ভিন্ন। দিনভর ঘাটে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে কিছু চাপ থাকলেও বড় গাড়ির সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট ॥ কোথাও যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই। এ ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘেœ গন্তব্যে পৌঁছতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি ও ঘাট সংশিষ্টরা আগেই নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যার ফলে কোন প্রকার ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই এ রুটে চলাচলরত যাত্রীরা নিরাপদে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে যে যার গন্তব্যে ফিরছেন। সোমবার শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কোন ঘাটেই ফেরির জন্য যানবাহন অপেক্ষায় নেই। বরং ফেরিই অপেক্ষা করছে যানবাহনের জন্য। যে গাড়ি আসছে সঙ্গে সঙ্গে সেটি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। ফেরি ঘাটের পাকিং ইয়ার্ডগুলো একেবারেই ফাঁকা রয়েছে। পার্কিং ইয়ার্ডগুলোতে ট্রাক ও কভ্যার্ডভ্যান রয়েছে, সেগুলোই ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে। যদিও ঈদের ক’দিন আগ থেকেই ট্রাক পারাপার বন্ধ করার ঘোষণা থাকলেও ছোট গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাস কম থাকায় ট্রাক ও কভ্যার্ডভ্যান পারাপার করা হচ্ছে ফেরিতে। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, এ নৌ রুটে চলাচলরত যাত্রীরা কোন প্রকার হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার যাতে না হয়, সে জন্য ঘাটের প্রত্যেক পয়েন্টে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছে। কোন নৌযান ও পরিবহন যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে পারে সেদিকে আমরা নজর রাখছি। তবে এখন পর্যন্ত যাত্রী ও যানবাহনের তেমন কোন চাপ না থাকায় কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রী নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে।
×