ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বেচ্ছায় কারাবরণের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর থানায় সাংবাদিকদের ধর্মঘট

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ৪ জুন ২০১৯

 স্বেচ্ছায় কারাবরণের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর থানায়  সাংবাদিকদের  ধর্মঘট

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ২১ সিনিয়র সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা হওয়ায় মামলার আসামিরা স্বেচ্ছায় গ্রেফতারের দাবি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অবস্থান ধর্মঘট করছেন। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদের নেতৃত্বে সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সুভাষ চৌধুরী, আনিসুর রহিমসহ ২১ সাংবাদিক সদর থানায় উপস্থিত হয়ে স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হওয়ার দাবিতে থানার ভেতরে গেটের সামনে অবস্থান নেন। অবস্থান নেয়া সাংবাদিকদের অভিযোগ, ২১ সাংবাদিকের নামে দীর্ঘ নাটকীয়তা শেষে সাতক্ষীরা সদর থানায় সাজানো মামলা রেকর্ড হওয়ায় সাংবাদিকরা স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হওয়ার দাবি নিয়ে সদর থানায় অবস্থান ধর্মঘট করছেন। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি জিএম নূর ইসলাম, দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকগণ। অবস্থান কর্মসূচী থেকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ বলেন, গত ৩০ মে দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৬৯নং মামলা করেন। এরপর জামায়াতের অর্থদাতা মনিরুজ্জামান তুহিন নামের এক মামলার আসামি সোমবার সাতক্ষীরা সদর থানায় ৫ নং মামলা করেন। এদিকে থানায় অবস্থান ধর্মঘট থেকে সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সুভাষ চৌধুরী, আনিসুর রহিম, এম কামরুজজ্জামান, আশেক ই এলাহী, কল্যাণ ব্যানার্জীসহ বক্তারা স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নাম উচ্চারণ করে অভিযোগ করে বলেন, তিনি সাতক্ষীরায় নব্য জয়নাল হাজারী সেজে সাংবাদিকদের লেখনি বন্ধ করতে চান। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব দখল করতে তিনি নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছেন অভিযোগ করে সাংবাদিকরা বলেন,সাতক্ষীরার সাংবাদিকরা আজ নিরাপত্তাহীনতায়। সাংবাদিকরা নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই। পুলিশ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নাটক করছে।
×