ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদ সামনে রেখে নতুন সাজে বাঁশখালী ইকোপার্ক

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ৪ জুন ২০১৯

 ঈদ সামনে রেখে নতুন  সাজে বাঁশখালী  ইকোপার্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ৩ জুন ॥ দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন স্পট বাঁশখালী ইকোপার্ক ঈদকে সামনে রেখে সেজেছে নানা সাজে। আঁকাবাঁকা অসংখ্যা লেক গঠিত দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন স্পট বাঁশখালী ইকোপার্কটি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। বিশেষ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির সঙ্গে জীব-বৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ ও সমৃদ্ধ করা, জনগণের চিত্তবিনোদনের জন্য ইকো-ট্যুরিজমের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষা ও গবেষণামূলক কার্যক্রমের সুযোগ- সুবিধা বৃদ্ধির জন্য তথ্য ও শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন,প্রাকৃতিক বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণিসমূহের সংরক্ষণের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি, জলাধার ও আশপাশ এলাকায় জলজ পাখির আবাসস্থল সৃষ্টি,বিরল ও বিলুপ্ত প্রায় বনজ ফলদ, ভেষজ ও শোভাবর্ধনকারী গাছের বাগান সৃজনের মাধ্যমে উদ্ভিদ প্রজাতির বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সমুদ্রতটে ঝাউ বাগান সৃজনের মাধ্যমে চিত্তবিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বনায়ন সৃজনসহ বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে বাঁশখালী ইকোপার্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর এ যাত্রা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি শীত মৌসুমে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত শীতের পাখির কলকাকলি এবং বিনোদন প্রেমীদের পদভারে মুখরিত হয়ে থাকে। পাশাপশি দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা বাঁশখালী ইকোপার্কে এসে ভিড় জমায় প্রতিনিয়ত। একদিকে গানবাজনা, অন্যদিকে পাখির কলতান সব মিলিয়ে বাঁশখালী ইকোপার্কে নতুন এক অবস্থা বিরাজ করে। কিন্তু এ যাত্রায় হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে প্রলয়ঙ্করী বন্যায় বামেরছড়া বাঁধ ভেঙ্গে অধিকাংশ স্থাপনে তছনছ হওয়াসহ হারিয়ে যায় পার্কের রূপ। বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বাঁশখালী ইকোপার্কের উন্নয়নে গ্রহণ করেন বিশেষ উদ্যোগ। এর প্রেক্ষিতে বামেরছড়া ও ডানেরছড়া এলাকায় ৪ কোটি ৮ লাখ টাকার উন্নয়ন কর্মকা-। যার ফলে সরকার আগের মতো পাচ্ছে রাজস্ব । অপরদিকে এই বামেরছড়া এবং ডানেরছড়া পানির মাধ্যমে কয়েক হাজার একর জমিতে বোরো চাষ হবে। এছাড়া মাটির বাঁধ ৩০ মিটার ডব্লিউআরএস নির্মাণ, দুটি ডব্লিউআরএস মেরামত, দুটি সেচ চেন ৫০০ মিটার এবং পানি ব্যবস্থাপনা দায়িত্বশীলদের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বামেরছড়া ও ডানেরছড়া দুটি লেকে পানি থাকার সুবাদে পূর্বের মতো পাখির আগমন পর্যটকরা নানাভাবে বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছে। বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি বিনোদন প্রেমীদের যথাযথ সুযোগ-সুবিধা দেয়া জন্য। প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের যথাযথভাবে নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধা দিতে। তাছাড়াও অবকাঠামোগত উন্নয়নের অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছেু। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, বিশাল পাহাড়ী এলাকাজুড়ে অবস্থিত বাঁশখালী ইকোপার্কটি সত্যিই সবাইকে আকৃষ্ট করে। তাই দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসু লোকজন ছুটো আসে এখানও । সে সব আগত পর্যটকদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে প্রশাসন সব সময় সক্রিয় রয়েছে ।
×