ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোড়েলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৬ চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত ৩

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ৩ জুন ২০১৯

 মোড়েলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৬ চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত ৩

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ ১৯৬৫ সালে পানগুছি নদীর তীরে সানকিভাঙ্গা গ্রামে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। দীর্ঘ ৫৩ বছর পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির শয্যা বাড়লেও বাড়েনি চিকিৎসকের সংখ্যা। বর্তমানে এ হাসপাতালে ৩৬টি পদের বিপরীতে কর্মরত মাত্র তিনজন চিকিৎসক। ফলে তিন লাখ লোক অধ্যুষিত এ উপজেলার সেবা গ্রহিতারা সীমাহীন ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সূত্র মতে, হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার, এ্যানেস্থেসিস্ট, গাইনি, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক্স, চক্ষু, শিশুসহ জুনিয়র কনসালটেন্ট ও সহকারী সার্জনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘদিন চিকিৎসক নেই। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ২১৮ পদের মধ্যে ৬৩টি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, একজন মেডিক্যাল অফিসার ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম। জনবল সঙ্কটের কারণে চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির প্যাথলজি বিভাগ। তবে হাসপাতালের একটি কক্ষে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের ব্যবস্থাপনায় শুধু কফ পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। রোগী আব্দুস ছালাম, রুবিয়া বেগম বলেন, এখানে আসলে আরও হয়রানি হতে হয়। এটা রোগী অন্যত্র পাঠানোর হাসপাতাল।’ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার মনিকা মল্লিক বলেন, হাসপাতালে প্রতিদিন ২০০-২৫০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। এত রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। তার পরও সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামাল হোসেন মুফতি বলেন, ৩০ শয্যা থেকে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আগের জনবল দিয়ে এখনো আমাদের সেবা দিতে হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকরা এসে থাকতে চান না। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। বর্তমান জনবল দিয়ে কাক্সিক্ষত সেবা দিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
×