ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ মুহূর্তে গ্রামীণ জনপদে ঈদের কেনাকাটা

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ৩ জুন ২০১৯

 শেষ মুহূর্তে গ্রামীণ জনপদে ঈদের কেনাকাটা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২ জুন ॥ একেবারে শেষ মুহূর্তে গ্রামীণ জনপদ মাদারীপুরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সদর, রাজৈর ও শিবচর উপজেলার শপিং মলগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। বিক্রেতাদের যেন কথা বলার ফুসরত নেই। বেচাবিক্রি ভাল হওয়ায় বিক্রেতারাও খুশি। রকমারী পোশাকে ঠাঁসা বিপণি বিতানগুলো। দেশী পোশাকের পাশাপাশি বিদেশী বিশেষ করে ভারতীয় থ্রিপিস, রেডিমেট স্যালোয়ার-কামিজ ও চোখ ধাঁধানো ছোটদের পোশাক শিশুদের মন কেড়েছে বেশি। তাই অভিভাবকদের পছন্দের পোশাক লুফে নিচ্ছেন তারা। ছোট্ট সোনামণিদের মুখে হাসি ফোটাতে তাদের সব আবদার রক্ষা করছেন অভিভাবকরা। ছেলেদের পছন্দের সব পাঞ্জাবি শোভা পাচ্ছে দোকানে-দোকানে। আধুনিক সমাজে ফ্যাশনের পরিবর্তনের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিটি ফ্যাশন হাউসেই কামিজের কাটিং প্যাটার্নে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পরিবর্তনের ব্যাপকতা চোখে পড়ার মতো। কামিজের কাটিং, কলার, লে-আউট, ছাপা, ব্লক, বুটিক, বাটিক, লেস ও চুমকির ব্যবহারসহ সবকিছুতে ভিন্নতা দেখা যায়। গরমের মধ্যে মেয়েরা সাধারণত সুতি কাপড় পরতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এখানে স্যালোয়ার-কামিজের চাহিদাটা অন্যান্য পোশাকের তুলনায় বেশি। চাহিদা অনুযায়ী ঈদে সময়োপযোগী স্যালোয়ার-কামিজের সমাহার শহর থেকে মফস্বল ও গ্রামাঞ্চলের সপিংমলগুলো এখন রমরমা। এখন প্রায় সকল দোকানেই হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় পছন্দের রং ও ডিজাইনের স্যালোয়ার-কামিজসহ নানা বর্ণের পোশাক। পুরুষ ক্রেতার চেয়ে মেয়েদের ভিড় অভাবনীয়। মাদারীপুর শহরের আমিন মার্কেট, নিউমার্কেট, সিটি মার্কেট, হকার্স মার্কেট, মসজিদ মার্কেট, হাওলাদার মার্কেট, শিবচর, রাজৈর মোল্লা মার্কেট, আজিজ মার্কেট এবং উপ-শহরের বিপণি বিতানগুলোতে বাহারি সব রঙের পোশাক শোভা পাচ্ছে। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। পোশাকে বৈচিত্র্য থাকার কারণে মেয়েরা ঈদ উপলক্ষে নিজেদের পছন্দের পোশাক লুফে নিচ্ছে। ভারতীয় মৌসুমি পোশাক পাখি, ঝিলিক, আনারকলি, লেহেঙ্গায় ভরপুর মার্কেটগুলো। এ সকল মনকাড়া সব নামের পোশাক গ্রামের মেয়েদের আকর্ষণ বেশি। আধুনিকতার স্পর্শে বিবর্তন আনা হয়েছে পোশাকে। কদর বৃদ্ধি পেয়েছে তাঁতের কাপড়ের। তাঁতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সফট সিল্ক, পালেক্স, সিল্ক, খাদি সিল্ক বা এন্ডি সুতি খদ্দর, পলিয়েস্টার, কৃত্রিম সিল্ক, নাইলন, আর্ট সিল্ক। যার দ্বারা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রুচিসম্মত ডিজাইনে তৈরি বর্ণিল পোশাকে সাজানো শপিংমলগুলো। ঈদে শুধু শহরে নয়, মেয়েদের পোশাকের রুচির পরিবর্তন এসেছে গ্রামীণ জনপদে। নিজস্ব ঐতিহ্যে তাঁতে বোনা শাড়ি ও স্যালোয়ার-কামিজ বিক্রি হচ্ছে বেশি। পোশাকের সঙ্গে ম্যাচ করে জুতা-স্যান্ডেল, প্রশাধনীও কিনে নিচ্ছে প্রায় সকলেই। এ কারণে কসমেটিকের দোকানেও উপচে পড়া ভিড়। পোশাকের পাশাপাশি ঈদে নিজেদের ঘর সাজানোর জন্য নামীদামী আসবাবপত্রও কিনে নিচ্ছে অনেকে। বিশেষ করে প্রবাসীদের পরিবার এসব বেশি ক্রয় করছেন। মেয়েরা নিজেদের আকর্ষণীয় করে সাজাতে সোনার অলংকার কিনে বা তৈরি করছেন পছন্দ মতো। সদর উপজেলার গগণপুর গ্রামের কিশোরী সাবেকুন নাহার মিথিলা বলেন, ‘আমার জন্য হাতে কাজ করা তাঁতের শাড়ি এবং শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে স্যান্ডেল কিনেছি।
×