স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ শহরের কলেজ পাড়ার তালতলা এলাকায় যৌতুকের ১০ হাজার টাকা না পেয়ে আরিফা (১৯) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী, শাশুড়ি ও দেবরসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে শহরের তালতলা এলাকায় আরিফার স্বামী আরিফ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে রবিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহত আরিফা সদর উপজেলার ভরসার মোড় এলাকার আলম মিয়ার মেয়ে। দুই বছর আগে তালতলার রাজমিস্ত্রি আরিফের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এ ঘটনায় আরিফার মা কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহতের পরিবারের দাবি মেয়ে জামাইয়ের দাবি করা ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় তাদের মেয়েকে নির্যাতনের পর গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।
বি’ বাড়িয়ায় গৃহবধূ
স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, সরাইলে আরিফা বেগম (২৫) এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় এলাকার আবদুল ওয়াহেদ খানের মেয়ে। রবিবার দুপুরে পুলিশ নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। শনিবার রাতে সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী আতিকুল ইসলাম (২৭) ও শাশুড়ি নাহার বেগমকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে জানায়, এক বছর আগে উপজেলার চুন্টা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় আরিফা বেগমের। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো। এরই জের ধরে আরিফাকে তার স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
ঝিনাইদহে ভ্যানচালক
নিজস্ব সংবাদদতা ঝিনাইদহ থেকে জানান, শৈলকুপায় আরিফুল ইসলাম (২৮) নামে এক ভ্যানচালকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার বড় মৌকুড়ী গ্রামের মাঠের খালপাড় থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আরিফুল ইসলাম কুষ্টিয়া ইবি থানার শৈলগাড়ী গ্রামের নিয়ামত হোনের ছেলে। এ ঘটনায় মিথুন হোসেন নামে এক জন হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়া ও ছিনতাই হওয়া ভ্যান। গ্রেফতারকৃত মিথুন হোসেন একই এলাকার বড়ইটুপি গ্রামের বাসিন্দা।
সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, গোয়াইনঘাটে এক পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সুদীপ বড়ুয়া (৩২) গোয়ানঘাট থানায় উপ পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রবিবার বিকেলে থানা কম্পাউন্ডের বাসা থেকে সুদীপের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সদীপ বড়ুয়া চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া এলাকার মৃত রবীন্দ্র লাল বড়ুয়ার ছেলে। জানা যায় রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত থানায় ছিলেন সুদীপ বড়ুয়া। এরপর থানা এলাকায় নিজের বাসায় যান তিনি। এর কিছুক্ষণ পর তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তার আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান করছে পুলিশ।
পিরোজপুরে কিশোর
নিজস্ব সংবাদদাতা পিরোজপুর থেকে জানান, মঠবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে আরিফ নামে এক কিশোরকে গলাকেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ছোটশৌলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে দুপুরে নিহত আরিফের লাশ উদ্ধার করেছে। আরিফ ছোটশৌলা গ্রামের গ্রামের দিনমজুর কালাম হাওলাদারের ছেলে। নিহতের পিতা কালাম হাওলাদার জানান, আমার ছেলে আরিফের সঙ্গে গুটি খেলা নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেশী বেলায়েতের পুত্র হাসিবের বাগবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে রবিবার সকালে আরিফকে বাড়ির সামনে একা পেয়ে হাসিব গালাগালি করলে আরিফ তার প্রতিবাদ করে। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাসিব (১৮) ও তার ভগ্নিপতি আজিম (২৭) এবং জয়নাল (৩০) মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরিফের গলা কাটে। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও আহত হই। এ সময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মনিরুজ্জামান আমার ছেলে আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: